চলতি হাওয়াছুটিহোমপেজ স্লাইড ছবি
অন্য এক ইতালির গল্প

গত আড়াই মাসে বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। গোটা বিশ্বই এখন কার্যত অচল। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
নানা গুজবে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। রাস্তাঘাট, বাস, ট্রেন, ট্রাম, চায়ের দোকান, অফিস—সর্বত্র করোনার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা, আলাপ, গপ্পো হচ্ছে। সত্যি, করোনাভাইরাস সমগ্র মানবসভ্যতাকে এক নিদারুণ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
ইতালিতে ওষুধ ও খাবারের দোকান বাদে সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘর থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়াও নিষেধ। ইতালিতে কতজন মারা গেছে সেটা আর বলছি না, সংবাদ মাধ্যমের কল্যানে আপনারা তা জানেন!
সুপার শপগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আতঙ্কিত নাগরিকেরা। মিলান থেকে ভেনিস, নাপোলি থেকে রোম- সব জায়গাতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা, মানুষের মধ্যে চাপা এক আতঙ্ক। অফিস-আদালত-স্কুল-কলেজ সব বন্ধ, বাড়ির বাইরে যাওয়া বারণ।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত সোমবার থেকে পুরো ইতালিকে ‘রেডজোন’র আওতাভুক্ত ঘোষণা করার পর থেকেই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন দেশটির প্রায় ৬ কোটি মানুষ।
আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, থিয়েটার, সিনেমা, স্টেডিয়াম, কনসার্টসহ জনসমাগমের স্থানসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের কারণে রাতের বেলা মানুষ বের হতে না পারলেও জানালায় দাঁড়িয়ে সমস্বরে গান গেয়ে নিজেদের চাঙ্গা রাখছেন।
সময় কাটানোর জন্যে ইতালির মানুষ এখন বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে গান গাইছেন একসঙ্গে, হরেক রকমের বাজনা বাজিয়ে কোরাসে মেলাচ্ছেন গলা। ইউটিউবে গেলেই পাবেন ইতালিয়দের সম্প্রীতির সেই কোরাস গান! করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সম্প্রীতি কেড়ে নিতে পারেনি ইতালিতে!