বিনোদনসাহিত্যহোমপেজ স্লাইড ছবি
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং তার প্রেমিকা আভা গার্ডনারের গল্প

মিরাজুল ইসলাম: ১৯৬১ সালের ২ জুলাই আর্নেস্ট হেমিংওয়ে আত্মহত্যা করলেন তাঁর শটগানের গুলিতে। নিজেকে সিংহপুরুষ মনে করতেন তিনি। এর চার বছর আগে তাঁর সাথে পরিচয় হয় হলিউডের মেধাবী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী আভা গার্ডনারের। বলা হয়ে থাকে সেই সময় দুনিয়ার সেরা সুন্দরী ছিলেন আভা। ইতিমধ্যে আভা অভিনয় করেছেন হেমিংওয়ে’র ছোট গল্প অবলম্বনে ‘দ্যা কিলারস’ সিনেমাটিতে। আহামরি কোন প্রডাকশন না হলেও আভা’র অভিনয় লেখক পছন্দ করেছিলেন।
১৯৫৭ সালে আভা গার্ডনারের সাথে তাঁর তৃতীয় স্বামী প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা’র ডিভোর্স হয়। হেমিংওয়ে নিজেও চারবার বিয়ে করে সংসারে থিতু হতে পারেন নি। সেই বছর আভা-হেমিংওয়ে দেখা করলেন স্পেনে। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেলেন হেমিংওয়ে।
দুইজন একসাথে বোতলের পর বোতল হুইস্কি-ওয়াইন সাবাড় করে ক্রমাগত ধূমপানের ধোঁয়ায় নিজেদের ব্যর্থ প্রেমের জীবন নিয়ে গল্প করতে করতে বুলফাইট দেখে সময় কাটাতে থাকলেন। ‘পাপা’ হেমিংওয়ে তাঁর বিখ্যাত ছোট গল্প ‘দ্যা স্নো’স অব কিলিমাঞ্জেরো’তে আভা’কে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
এর কিছু দিন পর তাঁরা দু’ জন একসাথে কিউবার হাভানায় এক বন্ধুর বাসায় সময় কাটাতে যান। সেখানে সুইমিং পুলে আভা তাঁর অপরূপ দেহবল্লরী উন্মুক্ত করে কোন পোশাক ছাড়া হেমিংওয়ে’র সামনে সাঁতার কাটলেন।
হেমিংওয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যতদিন আছেন সেই সুইমিং পুলের পানি যেন পরিবর্তন করা না হয়। আভা’র শরীরের স্পর্শ থাকুক। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মৃত্যুর পর আরো ত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন আভা গার্ডনার। বাকী জীবন বিয়ে না করে কাটিয়ে দিয়েছিলেন।