বাক্যহোমপেজ স্লাইড ছবি
ইতিহাসের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক নারী!

সুলতানা রাজিয়া ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শাসক। তিনি ছিলেন সুলতান ইলতুতমিশের কন্যা। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী, যুদ্ধবিদ্যায় পটু, অপরিসীম দক্ষ ও দৃঢ় শাসক এবং অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী ক্ষণজন্মা এই নারীর জীবন প্রদীপ নিভে গিয়েছিল খুব অল্পদিনেই। দিল্লির সুলতান শামস-উদ-দীন ইলতুতমিশ মৃত্যুর আগে জ্যেষ্ঠ মেয়ে রাজিয়া কে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে গিয়েছিলেন। অসীম সাহসী এবং অপরূপ সৌন্দর্যের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিরল প্রতিভাধারী অন্দরমহলে বেড়ে ওঠা রাজিয়া হয়ে উঠেন ইতিহাসের অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী নারী।
তার সাহসিকতা এবং মেধায় মোহিত হতেন স্বয়ং সুলতান ইলতুতমিশ। সুলতান ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর তার আরেক পুত্র রোকনুদ্দিন ফিরোজ দিল্লির শাসনক্ষমতা কেড়ে নেন। সুলতানা রাজিয়া সুলতান রুকনুদ্দীনকে পদচ্যুত করে সিংহাসনে বসেন। সে সময় দিল্লির সর্বত্র তুর্কিদের প্রভাব প্রতিপত্তি থাকায় একজন নারীশাসক কে সবাই নিরঙ্কুশভাবে মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না। তারপরও সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে প্রায় চার বছর ধরে গোটা সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন তিনি।
একজন নারী হয়েও নারীসুলভ আচার-আচরণ ও স্বভাব-প্রকৃতি বাদ দিয়ে অনাবৃত চেহারায় পুরুষের পোশাক পরে সিংহাসনে বসেছেন তিনি। বাবার মতো তিনিও ন্যায় ও সাম্যের বিজয় নিশ্চিত করার আদেশ দিলেন প্রশাসনের সর্বত্র। সেকালের প্রথা ও প্রচলন ডিঙিয়ে তিনি নিজেকে ঘোষিত করেছিলেন একজন সুলতান হিসেবে। নারী মানেই দুর্বল নয়। অনাদিকালের প্রচলিত বৈষম্য, সঠিক শিক্ষা ও সূযোগের অভাব নারীকে স্বকীয়তা, সম্ভাবনা ও প্রতিভা বিকাশে বাধাগ্রস্ত করে।
- সাহিদা খন্দকার