ব্যবসা ও বাণিজ্যহোমপেজ স্লাইড ছবি
করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি

চীন ২০১৭ সাল থেকেই নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট কিট তৈরি করা শুরু করে। যা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা যায়। ১৭ সালে চীনের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই কিট শিল্পকে “টার্গেটেড ডেভেলপমেন্ট” ইন্ড্রাস্টি বলে ঘোষণা করেছিল। যদিও করোনা বায়োলজিক্যাল উইপেনস নাকি প্রাকৃতিক ভাবেই ছড়িয়েছে এটা এখনো নিশ্চিত নয় পুরোপুরিভাবে! করোনাকালেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই চীনের অর্থনীতি অবিশ্বাস্য ভাবেই।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, জুনে এক বছর আগের তুলনায় চীনের রপ্তানি বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন দেড় শতাংশ কমবে। জুনে দেশটির আমদানি ১০ শতাংশ কমবে বিশ্লেষকদের এমন প্রত্যাশার বিপরীতে ২.৭ শতাংশ বেড়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য বা অবস্থা নির্ণয়ের প্রধান নির্দেশিকাগুলোর অন্যতম হলো জিডিপি বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। তেমনি বিশ্বেরটাও বোঝা যায় সামষ্টিকভাবে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। অন্যদিকে আইএমএফ বলছে, এ বছর বিশ্বের গড় উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পাবে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষকে ভয় দেখিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান, ড. খুরশিদ আলম স্যারের ভাষ্যমতে, “আমাদের দেশের দুটি বড় সামাজিক সম্পদ আছে, যার একটি হচ্ছে মানুষ যারা করোনাকে ভয় পেয়ে ভড়কে যায়নি, সবকিছু বন্ধ করে দেয়নি বরং সরকার চেষ্টা করেও তাদের কর্মচাঞ্চল্য বন্ধ করতে পারছে না। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, এখানে মানুষ খরচ করে। দেশের অর্থনীতিতে ভোক্তা ব্যয় হচ্ছে ৬৯ শতাংশ, যার মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ সচল রয়েছে। শহরে বসবাসরত প্রায় ২০-২৫ শতাংশ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরে তাদের কেনাকাটা কিছুটা কমিয়ে হলেও অব্যাহত রেখেছে। আবার গ্রাম এলাকার মানুষেরও আয়-রোজগার কমে যাওয়ার কারণে হয়তো আগের মতো ততটা ক্রয় করছে না। কিন্তু একেবারে বন্ধ করার কোনো জোর নেই।”
এ করোনাকালে জুন মাসের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি ৬০ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ৭০ শতাংশ (বর্ষার কারণে), ডিসেম্বর মাসে গিয়ে ৮৫-৯০ শতাংশ সক্রিয় হবে বলে আশা করা যায়। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা বেড়ে গেলেও বাংলাদেশ তার সুবিধা ভোগ করবে। বাংলাদেশের মানুষের আয় এবং ব্যয়ের ধরনের কারণে ভোক্তা ব্যয়ের ওপরও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। জনগণের ব্যয় থাকলে অর্থনীতি সচল থাকে, টাকা ঘোরে, টাকায় ভ্যালু যোগ হয়।
দিনশেষে দেশের অর্থনীতি সচল থাকবেই। আর এ বিষয়ে অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি সচেতন আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মুহূর্তে ‘বেস্ট কিচেন ইকোনমিস্ট’ যিনি ‘উনুনের অর্থনীতি’ খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যেকোনো ক্রাইসিস মোমেন্টে কিভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ রেখে অর্থনীতি সচল রাখতে হয় এই দেশে উনার চেয়ে ভালো কেউ জানে না।
- ওয়ারিদ আহমেদ তরিন