বিনোদনহোমপেজ স্লাইড ছবি
কি আছে শনিবার বিকেলে?

মাহমুদুর রহমান: মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী মানেই অন্য কিছু। ফারুকী মানেই আলোচনা। কেবল আলোচনা নয়, তুমুল আলোচনা। বিগত সময়ে তাঁর ‘টেলিভিশন’, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ এমনকি টেলিভিশন নাটক নিয়েও আলোচনা কম হয়নি। ‘ডুব’ নিয়ে তো বলাই বাহুল্য। আলোচনার পালে হাওয়া দিতে ফারুকী এবার হাজির হচ্ছেন ‘শনিবার বিকেল’ চলচ্চিত্র নিয়ে। ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে আলোচনা হওয়ার মূল কারন, এটি আসলে ‘হোলি আর্টিজান বেকারি’ নিয়ে তৈরি সিনেমা। ২০১৬ সালের হোলি আর্টিজানে ঘটে যাওয়া জঙ্গী হামলার কথা অনেকেরই মনে আছে। সে ঘটনাটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই সিনেমার গল্প তৈরি হয়েছে। সিনেমা নিয়ে অনেক কথা চলছে অনেকদিন ধরে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিলো ফারুকী একটি সিনেমা তৈরি করছেন ‘হোলি বেকারি’ নামে। পরবর্তীতে জানা যায় সিনেমার নাম হবে ‘শনিবার বিকেল’। দেশে এ নামে মুক্তি পাবে এবং বিদেশি সংস্করণে নাম হবে ‘স্যাটারডে আফটারনুন’। সিনেমা সম্পর্কে ফারুকী নিজে বলেছেন, “‘আমার এই ছবিটি হোলি আর্টিজান ঘটনার পুনর্নির্মাণ না। তবে ছবিটি হোলি আর্টিজান ঘটনা থেকে ইন্সপিরেশন নিয়েছি”। অর্থাৎ যদিও পুরোপুরি মূল ঘটনাকে অনুসরণ করবে না, তবে সেখান থেকেই গল্প এসেছে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই, রমজান মাসে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুরো দেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল। গুলশানের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় হঠাৎ করেই কিছু অল্প বয়সী যুবক, সেখানে থাকা অতিথিদের জিম্মি করে ফেলে। ফারুকী একদম গোপনে এই সিনেমার চিত্রায়ন করেছেন। শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি সিনেমা সম্পর্কে নিজের কথা বলেন। তিনি বলেন, “এটা ঠিক যে অনেকেই বলছে এই ছবিটা হোলি আর্টিজান ঘটনা নিয়ে। আমি বলব যে এই ছবিটি হোলি আর্টিজান ঘটনার ইন্সপিরেশনে নির্মিত। হোলি আর্টিজানে ট্র্যাজেডি যেমন আছে, তেমনি আছে বীরত্বগাথা—এসব আমাদের অনুপ্রেরণা। এটা কোনোভাবেই হোলি আর্টিজান ঘটনা নিয়ে নয়।
আমাদের গল্পের চরিত্রগুলোর সঙ্গে হোলি আর্টিজানের ঘটনার চরিত্রের সঙ্গে কোনো মিল নেই। তবে হোলি আর্টিজানের চরিত্রগুলোর আত্মত্যাগ, কোথাও কোথাও বীরত্বগাথা আছে—এই বীরত্ব এবং আত্মত্যাগ থেকে আমরা উৎসাহ নিয়েছি। আমি অন্য রকম একটা গল্প বলতে চেয়েছি”। সিনেমার নাম ‘স্যাটারডে আফটারনুন’ বা ‘শনিবার বিকেল’ রাখার কারন এখানে গল্পে বলা হয়েছে কি করে একটা সুন্দর বিকেল ভয়াবহ রোমহর্ষক হয়ে উঠতে পারে।
বলা হচ্ছে এটি একটি ‘সিঙ্গেল শট ফিল্ম’। এ সম্পর্কে ফারুকী বলেন, “‘আমাদের এই ছবিটা অর্গানিক্যালি সিঙ্গেল শট। এখানে কোনো ডিজিটাল কারুকাজ নেই। তবে কোথাও সিঙ্গেল শট বলতে চাইনি। কারণ, আমরা মনে করি, সিঙ্গেল শট অথবা মাল্টিপল শট—এটা খুব একটা আলোচনার বিষয় নয়। শেষ পর্যন্ত আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত ছবিটা। যে কারণে আমরা এটাকে আলোচনার মধ্যে রাখতে চাইনি”। সিনেমায় অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশিদ, নাদের চৌধুরী, জাহিদ হাসান, ইরেশ জাকের। সেই সঙ্গে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নামও শোনা গেছে অভিনেতা হিসেবে। এর বাইরে কিছু বিদেশি মুখ দেখা যাবে। মূলত হোলি আর্টিজান থেকে অনুপ্রাণিত এ গল্পের মাধ্যমে ফারুকী আমাদের একদিকে বাস্তবতা, অন্যদিকে গল্পের মিশেলে কোন বার্তা পৌঁছে দেবেন, এমনটা আশা করা যায়।