খেলাহোমপেজ স্লাইড ছবি
কোপা আমেরিকা: শেষ হাসি হাসবে কে?

এস.কে. শাওন: বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ফুটবল প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকা। গত ১৪ জুন লাতিন ফুটবল সৌন্দর্যের পসরা নিয়ে পর্দা উঠেছে কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের। কোপা আমেরিকার ৪৬তম এই আসরে মোট ১২ টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেনি উত্তর আমেরিকার কোন দেশ। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এবারের আসর বসেছে ফুটবলের তীর্থভূমি ব্রাজিলে। উত্তর আমেরিকার দলগুলোর অনুপস্থিতিতে আয়োজকরা এবার আমন্ত্রণ করেছে এশিয়ান ফুটবলের পাওয়ারহাউজ জাপান এবং ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারকে।
স্বাগতিক হওয়ায় এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ফেবারিট দল হিসেবে ব্রাজিলকেই ধরা হচ্ছে। ঘরের মাঠে কোপার আয়োজন হলেও দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে সেলেসাওদের। ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি এ তারকা। ব্রাজিল সর্বশেষ কোপার শিরোপা জিতেছিল ২০০৭ সালে।
কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা ব্রাজিলের জন্য সহজ হবে না। অতীত ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখা যায় ২০১১ সালে কোপা আমেরিকায় ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পরেছিল সেলেসাওরা।এছাড়াও ২০১৬ সালে নক আউট পর্বে পেরুর কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। তবে শক্তিমত্তার বিবেচনায় গ্রুপের বাকি তিন দলের চেয়ে এগিয়ে আছে সাম্বার দেশ ব্রাজিল।
গ্রুপ B থেকে শীর্ষে যাওয়ার আসল লড়াইটা হবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যে। আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে অভিজ্ঞ বলতে গেলে মেসিই। কোপার গত দুই আসরে ট্রাইবেকারে চিলির কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা মাটি হয়ে যায় আলবেসিলেস্তদের।তবে ১৪ বার কোপা আমেরিকা জিতে দ্বিতীয় সেরা দল কিন্ত আর্জেন্টিনাই। গ্রুপ B এর দল কাতার যদি চমক দেখায়,তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ দলটি এশিয়া কাপ জিতে ইতিমধ্যে বিশ্বে তাদের আগমনী বার্তা প্রকাশ করেছে।
গ্রুপ C কে এবারের আসরের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ বলা যেতে পারে। এই গ্রুপে আছে সর্বোচ্চ ১৫ বার কোপা আমেরিকা জয়ী দল উরুগুয়ে। সর্বশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন চিলি। রয়েছে এশিয়ান ফুটবলের পাওয়ার হাউজ খ্যাত জাপান এবং ইকুয়েডর। উরুগুয়ে দলে একাধিক তরুণ মিডফিল্ডার ছাড়াও রয়েছে কাভানি, সুয়ারেজদের মতো তারকা। চিলির হয়ে খেলছেন সর্বশেষ দুই কোপা আমেরিকা মাতানো খেলোয়াড়েরা। গত এশিয়া কাপের ফাইনালে রানার্সআপ জাপানও চমক দেখাতে পারে। সব মিলিয়ে C গ্রুপের লড়াইটা জমবে ভালো।
ইতিমধ্যে কোপা আমেরিকার কয়েকটি ম্যাচে মাঠে গড়িয়েছে। কে হবে এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন? সেটা জানতে আগামী ৭ জুলাই ফাইনাল দেখার বিকল্প নেই।