ছুটিহোমপেজ স্লাইড ছবি
ঘুরে আসুন অনিন্দ্য সুন্দর শহর নৈনিতালে

মৃন্ময়ী মোহনা: মুন্সী প্রেমচাঁদ, রাডিয়ার্ড কিপলিং এবং জিম করবেট তাদের রচনায় ভারতের উত্তরখাণ্ডের এক ছোট্ট শহরের কথা উল্লেখ করেছেন। নাম যার নৈনিতাল। উত্তরাখণ্ড অঙ্গরাজ্যের এক মনোরম শহর এটি। পর্যটন শহর হিসেবে এটি পৃথিবীর ভ্রমণপ্রিয় মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথমদিকে। এর মূল কারন শহরটি হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে এবং পর্বতবেষ্টিত নাশপাতি আকারের একটি হ্রদের উপত্যকায় অবস্থিত।

নৈনিতালের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। এর দক্ষিণে রয়েছে বিস্তীর্ণ সবুজ সমভূমি আর উত্তরে বরফাবৃত হিমালয়ের কেন্দ্রীয় পর্বতগুলোর সারি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নন্দা, দেবী, ত্রিশূল এবং নন্দা কোট। এ শহরে ১৯ শতকের দিকে বাস করতো ইংরেজ প্রশাসক ও কর্মচারীরা। এখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসভবনের স্থাপত্যে এর ছাপ আজও রয়ে গেছে।যা এ শহরকে করেছে আরও আকর্ষণীয়।
নৈনিতাল নামকরণের গল্প
এ শহরের নাম নিয়ে প্রচলিত আছে এক কিংবদন্তী। অনেক অনেকদিন আগে এখানে শিব ও সতী একত্রে বাস করতেন। দক্ষযজ্ঞের পর শিবের তাণ্ডবনৃত্যের ফলে সতীর দেহের বিভিন্ন অংশ যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন তাঁর চোখ দুটি এসে পড়েছিল এইখানে। সেই নয়ন থেকেই “তাল” বা সরোবরের সৃষ্টি, তাই এখানকার নাম হয় নৈনিতাল।
নৈনিতালের দর্শনীয় স্থান
নৈনিতালের দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। এখানে আসলে ঘুরে দেখা যেতে পারে, নয়নাদেবী মন্দির, গুরু দোয়ারা, জন্স চার্চ , সাত তাল, ভীমতাল, নৌকচিয়া তাল, খুর পাতাল প্রভৃতি সরোবর, মুক্তেশ্বর,রামগড় আরও অনেককিছু। সরোবরগুলোতে রয়েছে ইয়ট বা নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ এবং মাছ ধরার সুব্যবস্থা। অনেক মন্দির রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায়। রোপ ওয়েতে করে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে বরফঘেরা পর্বতগুলো দিয়ে। লেক, পর্বত, বরফের আবরণ, আর বিস্তৃত সবুজভূমি সব মিলিয়ে নৈনিতাল যেন এক স্বর্গরাজ্য।

কীভাবে যাবেন
ট্রেন বা বাস যেকোনো উপায়ে যাওয়া যায় এখানে। ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে জিপ কার। এখানে থাকার জন্যও রয়েছে অনেক আধুনিক রিসোর্ট ও হোটেল। সময় নিয়ে তাই ঘুরে আসুন অনিন্দ্য সুন্দর শহর নৈনিতালে।