বিদেশ
চলে গেলেন স্টিফেন হকিং

চলে গেলেন ব্ল্যাক হোল থিয়োরির জনক বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং৷ পরিবার সূত্রের তাঁর এই প্রয়াণের খবর জানানো হয়৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর৷
১৯৪২ সালের ৮ই জানুয়ারি স্টিভেন হকিংয়ের জন্ম, অক্সফোর্ডে। হকিংয়ের বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং একজন জীববিজ্ঞান গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং একজন রাজনৈতিক কর্মী।
হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল হকিং যেন তাঁর মতো ডাক্তার হয়। কিন্তু হকিং গণিত পড়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের কোর্স পড়ানো হতো না, সেজন্য হকিং পদার্থবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়া শুরু করেন। সে সময়ে তাঁর আগ্রহের বিষয় ছিল তাপগতিবিদ্যা, আপেক্ষিকতা এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা।
কেমব্রিজে আসার পরপরই হকিং মটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হোন। এ কারণে তাঁর শরীরের প্রায় বেশিরভাগটাই ধীরে ধীরে অসাড় হয়ে আসে।
ভিনগ্রহে যে মানুষের অস্তিত্ব আছে তার কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। এমনকি ভিনগ্রহীদের যে সভ্যতা তা আমাদের চেয়ে উন্নত তাদের দিক থেকে বিপদ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাই অযথা আগ বাড়িয়ে বিপদ ডেকে না আনারই কথা জানিয়েছিলেন এই ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী।
মানুষের চেয়ে উন্নত কোনও সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগকে তিনি কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ইউরোপীয়দের সংস্পর্শ আমেরিকার আদিবাসীদের জন্য সুখকর ছিল না। একটি অনলাইন ফিল্মকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নিজের এই মতই একসময় তুলে ধরেছিলেন হকিং।
অনলাইন ফিল্মটিতে এসএস-হকিং নামের একটি কাল্পনিক মহাকাশযানে করে মহাবিশ্বের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় দর্শকদের। ১৬ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহে এরকম বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্বের সম্ভাবনা রয়েছে।
হকিং জানিয়েছিলেন, একদিন আমরা হয়ত এরকম কোন গ্রহ থেকে সিগনাল পেতে পারি। তবে ওই সিগনালের জবাব দেওয়ার বিষয়টি ভালো করে ভেবে দেখতে হবে।’ এমনও তো হতে পারে ব্যাকটেরিয়াদেরকে আমরা যে দৃষ্টিতে দেখি এলিয়েনরাও আমাদের সেই দৃষ্টিতেই দেখতে পারে, জানিয়েছিলেন হকিং।
নতুন বার্তা/কেকে