প্রযুক্তিহোমপেজ স্লাইড ছবি
জল্পনা কল্পনার ২০১৯

আবদুল্লাহ আল মুনতাসির:
– ব্রডব্যান্ডঃ ৩০ মেগাবিট পার সেকেন্ড অফারের ১৬ মেগাবিট পার সেকেন্ড আমরা গড়ে ব্যবহার করছি।
– কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাঃ কম্পিউটার টেলিভিশান থেকে ঘরের দরজার লক, রুমের লাইট পর্যন্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
– মোবাইল ইন্টারনেটঃ ৯ মেগাবিট পার সেকেন্ড ও থ্রিজি/ফোরজি এর বদৌলতে।
– স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গ্যাজেটঃ স্মার্ট ওয়াচ, হেলথ ব্যান্ডস ইত্যাদির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
– হাইব্রিড / ইলেকট্রিক গাড়িঃ টয়োটার এখন প্রচুর হাইব্রিড গাড়ি বাংলাদেশে বাজারজাত হচ্ছে।
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্ব অনেক তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও কোন রকম ভাবে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। পশ্চিমা বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলতে থাকে দিনের পর দিন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে যেখানে “উন্নতির জোয়ারে” দেশ ভাসছে সেখানে পিছিয়ে পড়লে তো চলবেই না আমাদের। নিজের উন্নতি নিজেকেই করে নিতে হয়। আর এই উন্নয়নের ধারায় আমরা কিছু জিনিষ আশা করতেই পারি ২০১৯ সালের জন্য। এক চোখে দেখে নেওয়া যাক এবছর আমরা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কি কি আশা করতে পারি।
ইন্টারনেট- এ তো সবার কাছেই আছে কম বেশি। কিন্তু গতি কতজনের সাধ্যের মধ্যে আছে? আর ইন্টারনেট এমনি এক জিনিষ যার মজা গতি তেই। স্লো ইন্টারনেট এর শিকার হননি এমন মানুষ খুব কমই আছে বাংলাদেশে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় আমাদের দেশের আইএসপি কোম্পানিরা গড়ে প্রায় ৩০ মেগাবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত ইন্টারনেট স্পীড অফার করে থাকে। কিন্তু এ স্পীড কয়জনের সামর্থ্যের মধ্যে আছে তা দেখার বিষয়। অফার করা আর ব্যবহার করার মধ্যে পার্থক্য থেকেই যায়। এই ৩০ মেগাবিট পার সেকেন্ড অফারের ১৬ মেগাবিট পার সেকেন্ড আমরা গড়ে ব্যবহার করছি আমাদের দেশে কারণ বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এই গতি থেকে যাচ্ছে সাধ্যের সীমানার বাইরে। ২০১৯ এ আমরা আশা করি ব্রডব্যান্ডের এই গতি আরও বৃদ্ধি পাবে ও মানুষের সাধ্যের আরও কাছে আসবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স- প্রযুক্তির আরেক অবদান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্ষেপে এআই। শেষ কয়েক বছরে আমরা পশ্চিমা বিশ্বে এর অনেক প্রচার প্রসার দেখেছি। বছর দু এক আগে “সোফিয়া” ছিল হালের ক্রেজ। ইসলামি ব্যাংক ও গ্রে এডভারটাইজিং বাংলাদেশের সহায়তায় বাংলাদেশেও আসে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই অনন্য চমক। এছাড়া আমাদের পকেটে পকেটে আইফোনের “সিরি” ও আন্ড্রয়েডের “গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট” তো আছেই। ইউরোপ আমেরিকায় তো কম্পিউটার টেলিভিশান থেকে ঘরের দরজার লক, রুমের লাইট পর্যন্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কিছু না কিছু প্রদর্শন দেখতে পাওয়া জায়। ২০১৯ এ আমাদের আশা থাকবে আমরাও এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিপ্লবের অংশ হবো।
মোবাইল ডাটা- এ ক্ষেত্রেও আমরা অন্যান্যদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। মোবাইল ডাটার দিক থেকে আমরা ১২৩ এর মধ্যে ১১৪তম। ৯ মেগাবিট পার সেকেন্ডের এভারেজ স্পীড আমাদের, যেখানে নভেম্বর ২০১৮ তে এক নাম্বারে থাকা আইসল্যান্ডের এভারেজ স্পীড ৭২ মেগাবিট পার সেকেন্ড। এই ৯ মেগাবিট পার সেকেন্ড ও থ্রিজি/ফোরজি এর বদৌলতে পেয়েছি আমরা। ২০১৯ এ আমাদের আশা থাকবে নতুন সরকারের সাথে আমাদের মোবাইল ডাটার গতিও বৃদ্ধি পাবে এবং তা আরও সহজলভ্য হবে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গ্যাজেট- দিন এগুচ্ছে, মানুষ হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য সচেতন। দিন দিন জিম এর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে জিমে যাওয়া মানুষের সংখ্যা। প্রযুক্তির ব্যবহারও কম নয়। ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ এর সাহায্যে দিনে কতক্ষণ হাঁটছেন, কতক্ষণ বসে আছেন, হার্ট বিট পরিমাপ ইত্যাদি করা যাচ্ছে। স্মার্ট ওয়াচ, হেলথ ব্যান্ডস ইত্যাদির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ এ আমরা আশা করি এমন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরও নতুন নতুন পণ্য বাজারে আসবে।
হাইব্রিড/ইলেকট্রিক গাড়ি- হাইব্রিড গাড়ি একদম নতুন কোন ধারণা না হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন তুলনামূলক কম। হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক গাড়ির প্রচলন সবচেয়ে বেশি পশ্চিমা দেশগুলোতে দেখা যায়। তবে ইতোমধ্যে দেশে হাইব্রিড গাড়ির প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে। হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক গাড়ি যেমন আমাদের জ্বালানি বাঁচাবে তেমনি পরিবেশ বান্ধব ও। টয়োটার এখন প্রচুর হাইব্রিড গাড়ি বাংলাদেশে বাজারজাত হচ্ছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডরাও এ হাইব্রিড ঝরে সঙ্গী হচ্ছে। ২০১৯ এ আমাদের আশা থাকবে পরিবেশবান্ধব নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্বলিত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি আরও পাক।