দৈনিক ভালো খবর
‘দূতাবাস অ্যাপ’ প্রবাসীদের উন্নত সেবা দেবে

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সময়ে অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু হয়। বর্তমান মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এর কাজ শেষ করেন। এরইমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপটির কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই দূতাবাস অ্যাপটি সেবা দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
.বর্তমান পদ্ধতিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেবা নিতে হয়। অর্থাৎ দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে সংশ্লিষ্ট মিশনে হাজির হয়ে সেবা গ্রহণ করতে হয়। যেমন— মালয়েশিয়ায় অবস্থিত একজন বাংলাদেশি তার কোনও কাগজ (ডকুমেন্ট) সত্যায়িত করতে চাইলে তাকে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে। সেবা পাওয়ার জন্য দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় ফরম সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। পরে ওই স্লিপটি দূতাবাসে জমা দিতে হবে। সেবা সম্পন্ন হলে আবারও দূতাবাসে গিয়ে কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। এক কথায় বলা যায়, সেবা নিতে একজন ব্যক্তিকে দুই বা তারও বেশি সময় দূতাবাসে আসা-যাওয়া করতে হয়, যা প্রবাসীদের জন্য অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব কারণে প্রায়ই দালালদের সহযোগিতা নিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন সেবাগ্রহীতারা।
কিন্তু অ্যাপের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে সশরীরে হাজির হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, গোটা বিষয়টি ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। সেবাগ্রহণকারী ব্যক্তিকে প্রথমে দূতাবাস অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। পরে ৩৪টি সেবার মধ্যে যে সেবাটি পেতে দরকার, সেই মেন্যুতে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের (ডকুমেন্টস) ছবি তুলে অ্যাপে আপলোড করতে হবে। যেমন— কেউ যদি শিক্ষাসনদ সত্যায়িত করতে চান, তবে তাকে শিক্ষা সনদ, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি অ্যাপে আপলোড করতে হবে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সত্যায়িত সনদের কপি সেবাগ্রহীতার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে। এরপর ওই কপিটি প্রিন্ট করে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অ্যাকাউন্ট খোলা বা ছবি আপলোড করার বিষয়টি জটিল মনে হলেও এটি আসলে সোজা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ যারা বিদেশে যান, তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে এবং তারা সেখানে তাদের ছবিসহ ভিডিও পর্যন্ত আপলোড করে থাকেন। সুতরাং এই অ্যাপটি তারা সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন