দৈনিক ভালো খবর
দেশীয় মোবাইল ফোন শিল্পের প্রসারে বাজেটে অপরিবর্তিত থাকছে আমদানি শুল্ক!

দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন বাড়াতে এবং শিল্পের বিকাশে আসন্ন বাজেটে তেমন কোনও চমক থাকছে না। মোবাইল ফোনের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও আপাতত তা বাড়ানো সম্ভাবনা কম। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন,দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণে উৎসাহ দিতে আগ্রহী সরকার। তাই এবিষয়ে শুল্ক কর নির্ধারণে সরকার যে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিল আসন্ন বাজেটে তা-ই অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মোবাইল ফোন আমদানিতে নতুন কোনও করারোপের বিষয় থাকছে না বলেই ধরে নিতে পারি। আমি এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাবনা দেইনি।’
তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন, ‘মোবাইল আমদানি ও দেশে তৈরি মোবাইলের মধ্যে শুল্ক ও অন্যান্য করসহ পার্থক্য হলো ১৪ থেকে ১৫ শতাংশের মতো। দেশীয় উৎপাদকদের জন্য এই পার্থক্যই পর্যাপ্ত। এ থেকেই তারা মুনাফা করতে পারেন। ফলে আমদানিতে আরও শুল্ক বাড়ানো আপাতত প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট প্রয়োজনের ৮০ শতাংশ মোবাইল যদি দেশে তৈরি হয়, সেটাই হবে বড় অ্যাচিভমেন্ট।’
আমদানি শুল্ক বাড়ানোর বদলে বরং অবৈধ পথে মোবাইল ফোন আসা বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। গ্রে মার্কেটে (অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা মোবাইল) যে পরিমাণে মোবাইল প্রবেশ করছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী।
তার প্রত্যাশা, আমাদের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) ডাটাবেজ তৈরি হয়ে গেলেই গ্রে মার্কেটে মোবাইল ফোন আসা কমে যাবে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের এই জুন মাসের মধ্যেই আইএমইআই ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন