আলোচিত যারাবিনোদনহোমপেজ স্লাইড ছবি
নতুন সময়ের বার্তাবাহক মোরশেদ মিশু

উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন তরুণ বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছুটে চলছে আগামীর দিকে। কাকতলীয় হলে ও এই ছবি টাই মোরশেদ মিশুকে প্রতিনিধিত্ব করে সবচেয়ে সুন্দরভাবে।
মোরশেদ মিশু এক সুখ পাখির নাম। যিনি দুঃখের মাঝে সুখ খুঁজে বেড়ান। আর এই পথচলায় কার্টুন তাঁর হাতিয়ার।
গত ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে আক্রান্ত মানুষ গুলোর ছবি ফেসবুকে বেশি ছড়িয়ে পড়েছিল। কোনো কোনো ছবি এতই মর্মান্তিক ছিল—দেখাও সহজ ছিল না। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মিশু ঘুমাতেই পারেননি তেমন কয়েকটি ছবি দেখে। তখন তিনি ভাবতে বসলেন, ‘এই সব ছবি দেখতে চাই না, তাহলে কী দেখতে চাই?’ উত্তর পেলেন, ‘দেখতে চাই হাসিমুখ।’ সেই চিন্তা থেকেই প্রথম ছবিটা আঁকা। আঁকা শেষে উন্মাদের নির্বাহী সম্পাদক অনিক খানকে জানালেন। তিনি সিরিজটার জন্য দুই লাইন ছড়া লিখে দিলেন আর একটা নামও—‘দ্য গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ’। আর ছড়াটি হলো—‘আমি শুধু আঁকতে জানি, কষ্টগুলো ঢাকতে জানি। তারপরের গল্প শুধু ভালোবাসার আর প্রাপ্তির।
ভালোবাসার জোয়ারে ভাসছেন এই তরুণ তুর্কি তার ‘দ্য গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ’ সিরিজের জন্য। এরই মধ্যে ৯টি ছবি এঁকেই সাড়া জাগিয়েছেন। জিতেছেন উন্মাদ উৎসবের প্রথম পুরস্কার। সদা হাস্যোজ্জল সুখ সন্ধানী তরুণের গল্প আর দেশের সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই। তার এই দ্য গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ’ সিরিজ নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ গণমাধ্যমে ফিচার করা হয়ছে। তাকে নিয়ে ফিচার করেছে এখন পর্যন্ত ১৪ টি দেশের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যম।
যেভাবে কার্টুনের জগতে পথচলা
১৯৯৩ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় জন্ম নেয়া মোরশেদ মিশু। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে ভর্তি হন। তবে মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দেন। বন্ধু আল নাহিয়ান মাধ্যমে ফান ম্যাগাজিন উন্মাদের আহসান হাবীবের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। আগ্রহ দেখে আহসান হাবীব ২০১২ সালে মিশুকে উন্মাদে কার্টুন আঁকার সুযোগ দেন। আর এটাকেই জীবনের একটি বড় প্রাপ্তি মনে করেন মিশু। এখন মিশু উন্মাদের সহকারী সম্পাদক। মিশু এরই মধ্যে ১৫টি জাতীয় এবং দুটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকেন মিশু।
দ্য গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ সিরিজ