ছুটিহোমপেজ স্লাইড ছবি
নাগরিক ক্লান্তিতে ছুটির গান

মৃন্ময়ী মোহনা: ঢাকা শহরের বুকে ঝিল আর তাতে আধুনিক ওয়াটার ট্যাক্সিতে ভ্রমণ এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো ব্যাপার।বলছিলাম হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সির কথা। হাতিরঝিল রাজধানী ঢাকার একটি বহুল পরিচিত স্থান। ২০১৩ সালে এই এলাকা জুড়ে বিশাল প্রকল্প প্রণয়ণ করা হয়। যার মূল লক্ষ্য ছিলো বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা ও বন্যা প্রতিরোধ, ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন, রাজধানীর যানজট নিরসন। প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের অধীনে পরিচালিত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর থেকেই তার ফলাফল পেতে শুরু করেছে ঢাকাবাসী। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হাতিরঝিল পরিণত হয়েছে শহরের অন্যতম বিনোদন ক্ষেত্রে।
একে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে নানা রেস্টুরেন্ট, ওয়াটার শো প্রভৃতি বিনোদন ব্যবস্থা। প্রকল্পের সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে জণগণের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ওয়াটার ট্যক্সি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় এর যাত্রা। মূলত দুটি রুটে চলাচল করে থাকে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো। হাতিরঝিলের এফডিসি থেকে বাড্ডা লিংক রোড এবং রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত এদের চলাচল। ভাড়াও খুব কম। স্থানের দুরত্ব অনুযায়ী টিকেটের দাম ২৫-৩০ টাকা। ট্যাক্সিগুলো প্রতিদিন ১৪০০-১৫০০ যাত্রী আনা নেওয়া করে থাকে।
রামপুরার স্থানীয় অধিবাসী মিনহাজুর রহমান ওয়াটার ট্যাক্সির নিয়মিত একজন ব্যবহারকারী। কেন ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অফিস থেকে ফেরার পথে গুলশান থেকে রামপুরা যাওয়ার সময় বা মাঝে মাঝে অফিস যাওয়ার সময় তিনি ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করেন।এতে তার সময় বেঁচে যায় অনেকাংশে। তবে তিনি অভিযোগ করেন পানির দুর্গন্ধ নিয়ে। মাঝে মাঝে পানিতে দুর্গন্ধ বেড়ে যায়, যা বিরক্তির উদ্রেক করে।
হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাইয়েব শাকিল বলেন, ‘ঢাকায় পানির উপর এভাবে ভেসে বিকেলটা অনুভব করতে মাঝেই মাঝেই তিনি এখানে আসেন। তিনি আরো যোগ করেন, হাতিরঝিলের সব’চে সুন্দর প্রকল্প এটি।
ওয়াটার ট্যক্সির রুট বৃদ্ধি করে গুলশান-বনানী- বারিধারা পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পানির বুকে ভেসে থাকার স্বাদ নিতে চাইলে যেকোন দিন চলে যেতে পারেন হাতিরঝিলে।