আর্টস
নারীদেরও মানুষ ভাবুন

যুগ যুগ ধরে রাখা মানসিকতা থেকে অনেক মানুষই আজো বের হতে পারেনি। একজন মেয়ে যে মানুষ –এটা ভাবতে আজো কিছু মানুষের ভীষণ আপত্তি। যুগ পালটেছে কেবল টিভির নাটকে আর সিনেমায় দেখি। বাস্তবতা ভিন্ন ব্যাপার। আজো মেয়েদের ক্যারিয়ার গড়ার কথা সম্মানীয় অভিভাবকবৃন্দ সেভাবে ভাবেননা, বিয়ে দিয়েই দায়মুক্তি পেতে চান। আবার যুগ যুগ ধরে চলা সংস্কার মুক্ত হতে পারছেনা অনেক মেয়েরাও। অনেকেই বলে আজকালকার মেয়েরা আধুনিকা হয়েছে। অল্প সংখ্যক মেয়েদের পরিবর্তন কি পুরো দেশের চিত্র! নাহ, কখনোই নাহ।
আগের যুগে আমাদের নানী -দাদীরা ধান সিদ্ধ করতো, মসল্লা পিষে খেতো —-এই যুগের মেয়েদের নাকি আরাম, আয়েশের কোন শেষ নাই, অনেক উচ্চ শিক্ষিত ছেলেদের মুখেও আমি এসব কথা শুনেছি।
খুব ভোরে রাস্তায় বের হলে একটা দৃশ্য সবার চোখেই পড়ে। মায়েরা সন্তানদের নিয়ে কেউ স্কুলে আবার কেউ কোচিং ছুটছে। আমাদের মায়েদের এই উটকো ঝামেলা ছিলোনা তাই করেনি, করার দরকার হয়নি। এখন বাচ্চাকে একা ছাড়ার মতো পরিবেশ ও প্রতিবেশ আর নেই। সময়, পরিস্থিতি বদলেছে। কাউকে বিশ্বাস করা যায়না তাই মায়েদের দায়িত্ববহন বেড়েছে। অনেক মহিলারা বাজার পর্যন্ত নিজ হাতে করেন কারণ অনেকের স্বামীরা সময় পায়না আবার অনেক স্বামীরাই প্রবাসী। বাচ্চাকাচ্চা স্কুলে দিয়ে লম্বা সময় হাতে থাকে বলে মেয়েরাই সানন্দে সংসারের এই দায়িত্বটুকুও নিয়েছে। এই পরিবর্তন চোখে পড়লেও চেপে রাখাই ভালো।