জাতীয়
নাসার প্রতিবেদনে পদ্মা নদীর ভাঙন

ঢাকা: ২০১৮ সালের আগস্টে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র- নাসা আর্থ অরজারভেটরি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে পদ্মা নদীর ভাঙনের বিস্তারিত তথ্য।
নাসা জানিয়েছে, ১৯৬৭ সাল থেকে পদ্মা নদীর ভাঙনে ৬৬ হাজার হেক্টরের (২৫৬ বর্গমাইল) বেশি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। যা প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরগুলোর একটি- শিকাগোর সমান।
পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনের দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, এটি প্রাকৃতিক মুক্ত প্রবাহিত নদী, সুরক্ষার তেমন ব্যবস্থা নেই। দ্বিতীয়ত, নদীর তীরে একটি বড় বালুচর রয়েছে যা দ্রুতই ভেঙে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট ছবিতে পদ্মা নদীর প্রস্থ, গভীরতা, গঠন এবং সামগ্রীক আকার পার্থক্য উল্লেখ করে ভাঙন পরিমাপ করে। নাসা তাদের ‘ভাঙনের আকৃতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক-রঙের স্যাটেলাইট ছবিগুলোর সঙ্গে ১৯৮৮ সাল থেকে পদ্মার আকৃতি এবং প্রস্থের পরিবর্তনগুলো তুলনা করেছে।
গবেষকরা বহু বছর ধরে নদীর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রত্যেক ‘টুয়িস্ট অ্যান্ড জিগজ্যাক’ স্যাটেলাইট ছবি নদীর একটি ভিন্ন কাহিনী তুলে ধরছে। নাসার ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবিগুলো শুষ্ক মৌসুমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তোলা হয়েছে।নাসার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন দশক ধরে পদ্মা নদী তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ, সোজাসুজি অবস্থান পরিবর্তন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায়, সবচেয়ে লক্ষণীয় পরিবর্তন হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার অঞ্চলের নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে।ওই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি ভাঙন হয়েছে|
প্রতিবেদনটির শেষে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর, পদ্মার ভাঙনের হার প্রকৃতপক্ষে হ্রাস পেয়েছে। নদীটি বক্ররেখার পরিবর্তে জমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এলাকাটি ভাঙন থেকে মুক্ত।