জাতীয়হোমপেজ স্লাইড ছবি
বন্ধু দিবসের ইতিহাস

পার্থ বড়ুয়ার এই গানে প্রতিটি শব্দেই বন্ধুত্বের মূল বিষয়গুলো উঠে এসেছে। মন খারাপ হোক বা ভালো কিছু হোক, আসল খবরটা আগে বন্ধুকেই দেওয়া হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রতিদিন সমান গুরুত্বের হলেও বন্ধুকে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্য পালিত হয়ে আসছে ‘বন্ধু দিবস’। প্রতি বছরের আগষ্ট মাসের প্রথম রবিবার পালিত হয় আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস। আসুন জেনে আসি বন্ধু দিবসের ইতিহাস।
১৯৩৫ সালে মার্কিন কংগ্রেস বন্ধুদের সম্মানে একটি দিন উৎসর্গ করার কথা মাথায় রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে আগষ্টের প্রথম রোববারকে জাতীয় বন্ধু দিবস বলে ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবেও নির্ধারণ করা হয়। তখন থেকে প্রতিবছর দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে বিশেষ করে প্যারাগুয়েতে ঘটা করে বন্ধু দিবস পালিত হতো। ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য দেশে এ দিনটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। বন্ধু দিবস ঘোষণার উৎপত্তি বা কারণ ঠিক কী তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল।
কথিত রয়েছে, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তি নিহত হন। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। বন্ধু বিয়োগের ঘটনায় আঘাত সহ্য করতে না পেরে সেই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। বন্ধুর জন্য বন্ধুর এ অাত্মত্যাগের ঘটনায় সেসময় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। সেবছরই মার্কিন কংগ্রেস বন্ধুত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
অন্য এক সূত্র অনুযায়ী, বন্ধু দিবসের শুরু হয়েছিলো আরও আগে। ১৯১৯ সালে আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে কার্ড, ফুল, উপহার বিনিময় করতো। ১৯১০ সালে জয়েস হলের প্রতিষ্ঠিত হলমার্ক কার্ড বন্ধু দিবস পালনের রীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছিলো।
সম্প্রতি বন্ধু দিবসের দিন তারিখ বদলানো হয়েছে। ১৯৫৮ সালে অান্তর্জাতিক নাগরিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড বিশ্বে শান্তির উদ্দেশ্যে প্যারাগুয়েতে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয়।
তবে এখনও বাংলাদেশ-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগষ্টের প্রথম রোববারই বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আবার কোনো কোনো দেশে ০৮ এপ্রিল বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
জীবনে ভালো বন্ধু পাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। দিন বা তারিখ যাই হোক, প্রতিটি দিনই বন্ধুত্বের বাঁধন থাকুক অটুট। প্রতিটি দিনই হোক বন্ধু দিবস।