খেলা
বাংলাদেশের ২৩তম ওয়ানডে সিরিজ জয়

সাত উইকেটের দাপুটে জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেল স্বাগতিকদের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়েকে সাত উইকেটে ২৪৬ রানে বেঁধে ফেলে কাজ অর্ধেক সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর কাল দারুণ পেস বোলিংয়ে তিন উইকেট নিয়ে নিজেকে নতুন করে চেনালেন তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এরপর দুই ওপেনারের তাণ্ডবে নাগালের মধ্যে থাকা লক্ষ্যটা ৩৫ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ১৪৪ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা ইমরুল কায়েসের চওড়া ব্যাটে কালও ফুটতে পারত সেঞ্চুরির ফুল। মাত্র দশ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মুঠোবন্দি করতে পারলেন না। আরেক ওপেনার লিটন দাসের উদ্ধত ব্যাটেও ছিল সেঞ্চুরির প্রতিশ্রুতি।
কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে লিটন কাটা পড়েন ৮৩ রানে। তবে প্রাপ্য সেঞ্চুরি না পেলেও লিটন ও ইমরুলের ১৪৮ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটিই দলের দাপুটে জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
তবে তারপর চার রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা টলাতে পারেনি বাংলাদেশকে। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও ইরুলের ৫৯ রানের জুটি জিম্বাবুয়ের ম্যাচে ফেরার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেয়। ইমরুলকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে এই জুটিও ভাঙেন রাজা। ১১১ বলে সাত চারে সাজানো ইমরুলের ৯০ রানের ইনিংসটি। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন মুশফিক।
সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের ২৩তম ওয়ানডে সিরিজ জয়। যার দশটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এ নিয়ে বাংলাদেশের কাছে টানা ১২টি ওয়ানডে হারল আফ্রিকার দেশটি। আগামীকাল একই ভেন্যুতে নিয়মরক্ষার শেষ ওয়ানডে।