বাক্যহোমপেজ স্লাইড ছবি
বাবরি মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস

আরিফুল আলম জুয়েল: সম্প্রতি যে রায় দেয়া হয়েছে তাতে কি বলা হয়েছে সেটা আপনারা সবাই জানেন! ২০১০ সালে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখাড়া, রামলালার মধ্যে জমি সমান ভাগে করে দেয়া হোক। এর ফলে হিন্দুরা পায় জমির তিন ভাগের দুই ভাগ। মুসলিমরা এক ভাগ। এর বিরুদ্ধে সব পক্ষই উচ্চ আদালতে আপীল করে।
৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়কে রদ করে ঘোষণা দেয় ২.৭৭ একরের পুরো জমিই এমন একটি ট্রাস্টকে দিতে হবে, যারা হিন্দু মন্দির নির্মাণ করবে। একই সাথে আদালত সরকারকে নির্দেশ দেয় সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দিতে হবে মসজির নির্মাণের জন্য এবং সে জমি অযোধ্যায়ই হতে হবে। গত পরশুদিন ৯ তারিখে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের রায় ঘোষণা করা হয়! যে রায় নিয়ে চলছে ক্রিয়া-মিশ্র প্রতিক্রিয়া!
ভারতের উত্তর প্রদেশের, ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ছিল।
যার নাম ই ‘বাবরি মসজিদ’! বিশ্বাস করা হয়, এ বাবরি মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত ছিল সেটাই ছিল হিন্দু ধর্মের অবতার রামচন্দ্রের জন্মস্থান। এই বিষয়টি নিয়ে আঠার শতক থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক চলে আসছে, যা অযোধ্যা বিতর্ক নামে পরিচিত।মসজিদের অভিলিখন থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮-২৯ (৯৩৫ হিজরি বর্ষে) এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
আমার আগ্রহ টা বাবরি মসজিদের নির্মাণের ইতিহাসে! আপনি জানেন, বাবরি মসজিদেও আছে অলৌকিকতার ছোঁয়া। মসজিদটিতে অভ্যন্তরীণ শব্দ-নিয়ন্ত্রণ (স্বনবিদ্যা) ও শীতলীকরণের ব্যবস্থা ছিল, যার রহস্য নির্মাণে বিদ্যমান। মানে আপনি যদি মসজিদে ঢুকেন, তাহলে দেখবেন কোন মাইক ছাড়াই শব্দ অনেক দূরে পৌঁছে যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে!আধুনিক স্থপতিদের মতে বাবরি মসজিদের চিত্তাকর্ষক স্বনবিদ্যার কারণ হল মসজিদটির মিহরাব (মসজিদের একদিকে একটি অর্ধবৃত্তাকার দেয়াল যেটি ক্বিবলা নির্দেশ করে) ও পার্শ্ববর্তী দেয়ালগুলিতে বিভিন্ন খাঁজ যা অনুনাদক হিসাবে কাজ করতো! এই নকশা মেহরাবে অবস্থিত ইমামের কথা (উপাসনা) সবাইকে শুনতে সাহায্য করত। এছাড়াও বাবরি মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেলেপাথর অনুনাদের কাজ করে যা মসজিদটির শব্দ-নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করত।