ব্যবসা ও বাণিজ্য
বিড়ি শিল্প রক্ষায় সাড়ে ৫ লাখ গণস্বাক্ষর

অনুষ্ঠানে ভারতের ন্যায় বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা, ২০ লাখ শলাকার কম বিড়ি উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরিকে করমুক্ত রাখা এবং বিড়ি-সিগারেটকে একই সময় বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। এসময় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙালি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক হেরিক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সারাদেশ থেকে আগত বিড়ি শ্রমিক, তামাক চাষী, বিড়ি ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, গত ৩১ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে ২ বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প এবং ২২ বছরের মধ্যে সিগারেট শিল্প তুলে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে বিড়ি শ্রমিক, তামাক চাষি, বিড়ি ব্যবসায়ী ও বিড়ি ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা এর প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই সঙ্গে বিড়ি শিল্পকে রক্ষায় বিভিন্ন দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। স্বাক্ষরগুলো বই আকারে বাঁধাই করে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের হাতে তুলে দেয়া হয়।
পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, ‘গণস্বাক্ষরগুলো আমরা আমাদের সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতাদের মাধ্যমে শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির জন্য তার অফিসে জমা দেবো। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়ার হাতে তুলে দেবো।’
উল্লেখ্য, সিলেট অঞ্চলের গণস্বাক্ষর হস্তান্তর করেন নেছার ইসলাম। অনুরূপভাবে বগুড়া থেকে সাগর আহম্মেদ, রংপুর থেকে আব্দুল মজিদ, রাজশাহী থেকে আরিফুল ইসলাম, খুলনা থেকে আতাউর রহমান, ফরিদপুর থেকে রবিউল ইসলাম, বরিশাল থেকে চিত্তরঞ্জন, চট্টগ্রাম থেকে মোত্তাকিম ও ঢাকা থেকে কামরুল ইসলাম গণস্বাক্ষরগুলো হস্তান্তর করেন।