খেলাজাতীয়হোমপেজ স্লাইড ছবি
রাজনীতির মাঠে ও সফল যেসব ক্রিকেটার!

মঞ্জুর দেওয়ান : আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা আসার পর তাকে নিয়ে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এখনই তার ক্রিকেট ছেড়ে কিংবা ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়ানো উচিত কি না? অনেকের শঙ্কা এর মাধ্যমে দেশসেরা এই ক্রিকেটারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ক্রিকেট। এর বাইরে ইতিবাচক আলোচনাও ছিল অনেকের মত ছিল, মাশরাফিদের মত ক্রিকেটারদের রাজনীতিতেও আসা উচিত। তারকারা এভাবে রাজনীতিতে আসলে দেশের রাজনীতির অবস্থাই পরিবর্তন হবে।
ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসার উদাহরণ এই উপমহাদেশের নতুন কিছু নয়। ভারতের সেই মনসুর আলী খান পাতৌদি থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়াসহ অনেকেই এসেছেন রাজনীতিতে। কেউ কেউ সফল হয়েছেন, আবার কেউবা ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ক্রিকেটার রাজনীতিবিদ হিসেবে সবচেয়ে সফল হওয়া নাম পাকিস্তানের ইমরান খান। রাজনীতিতে নামার ২৩ বছর পর তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কেবল তারাই নন ক্রিকেটার রাজনীতিবিদ হিসেবে আরও আছেন নবজ্যোত সিং সিধু, বিনোদ কাম্বলি, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, অর্জুনা রানাতুঙ্গা এবং বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। জয়াসুরিয়া বাদে বাকি সকলেই ক্রিকেট ছেড়ে রাজনীতিতে পা দিয়েছেন।
মাশরাফি ক্রিকেট খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে আসছেন, নির্বাচন করছেন। তবে এটা নজিরবিহীন নয়, এমন নজির আগেই স্থাপন করেছেন শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া। জয়াসুরিয়া জাতীয় দলে থাকাবস্থায় রাজনীতিতে নেমেছিলেন, নির্বাচন করেছিলেন এবং নির্বাচনে জিতে সংসদেও গিয়েছিলেন, রানাতুঙ্গার মতো মন্ত্রী না হলেও উপমন্ত্রীও হয়েছিলেন।
সনাথ জয়াসুরিয়া ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাহেন্দ্র রাজাপাকসের ইউনাইটেড পিপল ফ্রিডম অ্যালায়েন্সে যোগ দেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এমপি হয়ে যাওয়ার পরও খেলা চালিয়ে যান জয়াসুরিয়া। ২৮ জুন ২০১১ সালে দেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি। এবং এরও এক বছর পর শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।। জয়াসুরিয়া যেমন ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষের দিকে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন, মাশরাফিও সেই একই পথে। এখানে জয়াসুরিয়ার সঙ্গে মাশরাফির একটা বড় মিল।
রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না মাশরাফি, এমনকি রাজনীতির মাঠেও ছিলেন না তিনি। অবশ্য সে সুযোগও ছিল না তার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন শাস্ত্রে ভর্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি তিনি ক্রিকেট-ব্যস্ততায়। ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলমান তার, যার শুরু হয়েছিল ২০০১ সালের নভেম্বরে। টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে শুরু হলে আগামী বছরের জুনের ওয়ানডে দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার সমাপ্তির আলোচনা রয়েছে। ক্রিকেটের কারণে লেখাপড়া শেষ করতে না পারলেও তিনি যে মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন না তা নয়। মাশরাফির নিজের শহর নড়াইলে গড়েছেন তিনি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’; এবং এর মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।