আলোচিত যারাজাতীয়হোমপেজ স্লাইড ছবি
রানি এলিজাবেথের যত অদ্ভুত ক্ষমতা

রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়-এর দারুণ কিছু ক্ষমতা আছে। এগুলোর একচ্ছত্র মালিক তিনি। অনেকে চোখে এসব ক্ষমতা বড়ই অদ্ভুত মনে হতে পারে। তার এসব ক্ষমতার কথা অনেকেই জানেন না। আসুন জেনে আসি নিচের প্রতিবেদনে।
১. ব্রিটেনের একমাত্র রানিই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন নম্বরও প্রয়োজন নেই তার গাড়িতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এলিজাবেথ ড্রাইভিং শিখেছেন। লাইসেন্স না থাকলেও গাড়ি চালাতে দারুণ পারদর্শী তিনি।
২. রানির পাসপোর্টও নেই। রাজ পরিবারের সদস্য হওয়াতে তাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ রাখার প্রয়োজন নেই। এটি ছাড়াই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পারেন।
৩. রানির ব্যক্তিগত কবি আছে। ব্রিটিশ সোসাইটির মাধ্যমে রাজকবির নিয়োগ দেন। এই কবির কার্যক্রম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার বাৎসরিক বেতন ২০০ পাউন্ড। সঙ্গে এক পিপে ক্যানারি ওয়াইন বোনাস।
৪. আইনের খসড়াকে সত্যিকার আইনে পরিণত করতে রানির স্বাক্ষর প্রয়োজন। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে কোনো আইন পাস হওয়ার পর তা বাস্তবিক আইনে রূপ নিতে রানির স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।
৫. ব্রিটেনের উচ্চকক্ষে লর্ড নিয়োগের ক্ষমতা আছে রানির। তবে এই ব্যক্তিকে মনোনীত করতে নির্বাচিত মন্ত্রীদের পরামর্শ নিতে হয়।
৬. রানিকে ট্যাক্স প্রদান করতে হয় না।
৭. ইংল্যান্ডের চার্চের প্রধান কুইন এলিজাবেথ দ্বিতীয়। তার টাইটেলটি হলো ‘ডিফেন্ডার অব দ্য ফেইথ অ্যান্ড সুপ্রিম গভর্নর অব দ্য চার্চ অব ইংল্যান্ড’।
৮. প্রতিবছর রানি যে বয়সে পা রাখেন, সে কয়টি বিশেষ সিলভার কয়েন পেনশনভোগীদের প্রদান করেন ইস্টারে আয়োজিত বিশেষ আয়োজনে।
৯. অস্ট্রেলিয়ার হেড অব স্টেট হওয়ার কারণে সে দেশের সরকারপ্রধানকে বরখাস্ত করতে পারেন রানি। একই ক্ষমতাবলে রানি যেসব দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারেন তাদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিগা, বারবুডা, বাহামাস, বারবাডোস, কানাডা, গ্রেনাডা, জ্যামাইকা, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেইন্ট লুসিয়া, সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনস, সলোমন আইল্যান্ডস এবং টুভালু হেড অব স্টেট।
১০. এ যুগে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হলেও রানি আইনের উর্দ্ধে এবং তিনি আদালতে কোনো প্রমাণপত্র জমা দিতে বাধ্য নন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার