খেলা
রেকর্ড গড়ে নাম্বার ওয়ান ফেদেরার

বয়স তো কেবল সংখ্যা মাত্র তাঁর কাছে। হেন কোনও সাফল্য নেই যা তিনি জীবনে পাননি। কেরিয়ারের একবারে সায়াহ্নে এসেও ফের একবার জ্বলে উঠেছেন তিনি। তিনি রজার ফেডেরার। ৩৬ বছর বয়সে টেনিস দুনিয়ার ব়্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে তিনি। সবচেয়ে বেশি বয়সে শীর্ষ ব়্যাঙ্কিং। ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক রাজা রজার শুক্রবারই এহেন কীর্তির নজির গড়লেন। রটারডাম ওপেনের শেষ চারে পৌঁছতেই এটিপি ব়্যাঙ্কিংয়ে একনম্বর স্থান ফিরে পেলেন সুইস তারকা। শেষ লগ্নেও টেনিস সম্রাটের মুকুটে পালকের অভাব হচ্ছে না।
এদিন রটারডাম ওপেনে ঘরের ছেলে ডাচ টেনিস খেলোয়াড় রবিন হাসকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছন। তারপরেই শীর্ষ স্থান ফিরে পান তিনি। তাও আবার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে সরিয়ে একনম্বর হওয়া বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে তাঁকে, জানিয়েছেন রজার। আরও বলেন, ‘দুর্দান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ফের একনম্বর আসন পাওয়া অনেক পরিতৃপ্তির। এবং এটা সত্যি স্পেশ্যাল কারণ কখনও ভাবিনিই যে ফের শীর্ষে স্থান ফিরে পাব। কেরিয়ারের একটা উল্লেখযোগ্য সময়ে অনেক আনন্দ পেলাম।’ এদিন ব়্যাঙ্কিংয়ে একনম্বর স্থান ফিরে পেয়ে টেনিস কিংবদন্তি আন্দ্রে আগাসিকে ছাপিয়ে গেলেন ফেডেরার। ২০০৩ সালে ৩৩ বছরে বয়সে এটিপি ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন আগাসি। এতদিন এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি বয়সে একনম্বর হওয়ার নজির। ২০০৪ সালে প্রথম এটিপি ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠেন রজার। তারপর ২০১২ সালের অক্টোবরের পর ফেডেরারের কেরিয়ার নিম্নমুখী হয়। হারান শীর্ষ ব়্যাঙ্কিং। হারানো মানিক পেয়ে আত্মহারা ফেডেরার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শুক্রবার। জানান, একনম্বর হওয়া টেনিসে আকাশছোঁয়া সাফল্য। বয়স বাড়লে খাটুনি দ্বিগুণ হয়ে যায়। একনম্বর হওয়ার জন্য তখন প্রতিপক্ষের সঙ্গে পাল্লা দিতে কালঘাম ছুটে যায়। করতে পারলেই কেল্লা ফতে। স্বপ্ন সত্যি হয়।
বস্তুত, ১৯৯৮ সালে প্রথম ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রিতে রটারডাম ওপেনে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয় রজারের। আর সেখানেই ২০ বছর পর রজার ফের রাজা। ফেডেরারের গগনচুম্বী সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন স্বয়ং আগাসি। টুইট করে অভিনন্দনও জানান মার্কিন কিংবদন্তী। আর ফেডেরার বলছেন, জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে।
নতুন বার্তা/এমআর