খেলাহোমপেজ স্লাইড ছবি
লিওনেল মেসির ব্যালন ডি’অর রেকর্ড

সোমবার রাত শুধু লিওনেল মেসির। এ রাতে রোনালদো-ফন ডাইকের জন্য কোন রূপকথা ছিলো না। কারণ সোমবার রাতে প্যারিসে জমকালো আয়োজনে রোনালদো-ডাইককে টপকে ৩২ বছর বয়সী মেসির হাতে উঠেছে সেরার পুরস্কার।
২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন ফুটবল জাদুকর। মাঝখানে কিছুদিনের বিরতি! রাজা ফিরে পেলেন আবার তার হারানো সিংহাসন। গত সেপ্টেম্বরে ফিফা বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট মেনস প্লেয়ার’ও নির্বাচিত হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেখানেও ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ষষ্ঠবারের মতো ফিফার খেতাব জিতেছেন।
বরাবরের মতো গত ক্লাব মৌসুম দারুণ কেটেছিল মেসির। বার্সেলোনাকে লা লিগা জিতিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল ও কোপা ডেল রের ফাইনালে তুলেছেন। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আছে লিগে সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করে পিচিচি ট্রফি ও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়ের স্মৃতি। উয়েফা সেরার গত আসরে সর্বোচ্চ ১২ গোলও তারই। সেসবের স্বীকৃতি এই ব্যালন ডি’অর। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো এই খেতাব হাতে তুললেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
গত মৌসুমে লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টাইটেল জেতাতে বড় ভূমিকা রাখা ডাচ ডিফেন্ডার ফন ডাইক প্রথমবার খেতাবের দাবিদার ছিলেন। গত মৌসুম জুড়ে নিজেদের রক্ষণকে দুর্গ বানিয়ে রাখার পুরস্কার উয়েফা সেরাতেই আটকে থাকল ফন ডাইকের।
এদিকে রোনালদো জুভেন্টাসে পা দিয়ে প্রথম মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছিলেন। তুরিনের বুড়িদের টানা অষ্টম সিরি আ শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন। লিগে ২১ গোল তার, সব ক্লাব প্রতিযোগিতা মিলে সেখানে ২৮ গোল নামের পাশে। পর্তুগাল জার্সিতে উয়েফা নেশন্স লিগ জিতেছেন। যার সেমিফাইনালে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন। তবুও ফন ডাইক আর রোনালদোর ফিরতে হলো শূন্য হাতেই।