ছুটি
সহজেই ঘুরে আসুন তেওতা জমিদার বাড়ি!

কামরুজ জামান: ভেবে দেখেছেন? কতদিন নদীর পানি স্পর্শ করা হয় না?
দেখা হয় না কোন প্রাচীন স্থাপনা! সময় আর সুযোগের সমন্বয় করা আসলেই খুব কঠিন এই ব্যস্ত নাগরিক জীবনে।
নদী আর প্রাচীন কালের জমিদার বাড়ি যদি ঘুরে আসতে চান একদিনেই !
তাহলে যেতে পারেন তেওতা জমিদার বাড়ি।
আর তেওতা জমিদার বাড়ি যমুনা নদীর তীরেই অবস্থিত।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত তেওতা জমিদার বাড়িতে রয়েছে নজরুল-প্রমীলার অনেক স্মৃতি। জমিদার বাড়ির পাশেই নজরুলের স্ত্রী প্রমীলা দেবীর বাড়ি। প্রমীলা দেবীর বাবা বসন্ত সেনের ভাতিজা বীরেন সেনের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিচয়সূত্রে প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এভাবেই প্রমীলা দেবীর সঙ্গে নজরুলের প্রেম। আর এসবের অনেক স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গেছে আজও। তাই সময় পেলে ইতিহাস ও সাহিত্যের রসদ পেতে ঘুরে আসুন কিছু সময়ের জন্য হলেও।
তেওতা জমিদার বাড়ি ৭.৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয়ে এর অবস্থান।
তেওতা জমিদার বাড়ির বয়স ৩শ’ বছর ছাড়িয়েছে। সপ্তদশ শতকের শুরুতে পাচুসেন নামের পিতৃহীন দরিদ্র এক কিশোর তার সততা আর চেষ্টায় তামাকের ব্যবসা করে বিপুল ধন-সম্পদ অর্জন করেন। দরিদ্র পাচুসেন দিনাজপুরের জয়গঞ্জে জমিদারী কিনে হয়ে যান পঞ্চানন সেন। তারপর শিবালয়ের তেওতায় তিনি জমিদার বাড়ি তৈরি করেন।
জমিদার বাড়ির মূল ভবনের উত্তর দিকের ভবনগুলো নিয়ে হেমশংকর এস্টেট এবং দক্ষিণ দিকের ভবনগুলো নিয়ে জয়শংকর এস্টেট। প্রতিটি এস্টেটের সামনে বর্গাকৃতির অট্টালিকার মাঝখানে আছে নাটমন্দির। পূর্বদিকের লালদিঘী বাড়িটি জমিদারদের অন্দরমহল। অন্দরমহলের সামনে দুটি শানবাঁধানো ঘাট। দক্ষিণ পাশের ভবনের নিচে রয়েছে চোরা কুঠুরী, যাকে এলাকার মানুষ বলে অন্ধকূপ। উত্তর ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৪ তলা বিশিষ্ট ৭৫ ফুট উচ্চতার নবরত্ন মঠ। এর ১ম ও ২য় তলার চারদিকে আছে ৪টি মঠ। আর জমিদার বাড়ী থেকে পশ্চিমেই আছে যমুনা নদীর অবারিত জলরাশি।যা আপনাকে দিবে অপূর্ব অনুভূতি।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে আরিচার দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। গাবতলী থেকে বাসে আরিচা ঘাট যেতে হবে। আরিচা ঘাট থেকে রিকশায় যাওয়া যাবে তেওতা জমিদার বাড়ি।