জাতীয়স্বাস্থ্যহেলথ টিপসহোমপেজ স্লাইড ছবি
সুস্থ থাকতে ঘরে থাকুন

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্ততপক্ষে ১০০০ মানুষ মারা গেছেন, এমন দেশের সংখ্যা এখন ১৫টি। দেশগুলো হচ্ছে আমেরিকা, ইতালি, স্পেইন, ফ্রান্স, ইউকে, ইরান, বেলজিয়াম, জার্মানি, চায়না, হল্যান্ড, ব্রাজিল, টার্কি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডা। ন্যূনতম ১০০০ জন মারা যাওয়া ১৫টি দেশের মধ্যে তালিকার শীর্ষে আছে আমেরিকা। আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এদিকে শীর্ষ ১৫ দেশের তালিকায় মাত্রই প্রবেশ করা কানাডায় মারা গেছেন ১০১০ জন।
সারাবিশ্বে টেস্টকৃত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লক্ষ, মৃত্যের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার; এবং এই সংখ্যা এখনও ‘overwhelmingly’ বাড়তির দিকে। এক প্রশ্নের উত্তরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, কড়াকড়ি শিথিল করার কোন পরিকল্পনা তার সরকারের নেই। তিনি কানাডিয়ানদের আরও অনেকদিন ঘরে থাকার প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কানাডার ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় বলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর মুখ থেকে ড্রপলেটের (হাঁচি-কাশি-থুতুর জলীয় কণা) মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে প্রায় ১৬ ফিট পর্যন্ত। তবে ড্রপলেটের বেশীরভাগ অংশ ওজনের কারণে ৩ ফিটের মধ্যেই মাটিতে পড়ে যেতে পারে।
বাকি অংশ এতই হালকা যে তার আক্রান্ত করার সক্ষমতা অনেক কম। একই ধরণের তথ্য দিয়েছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি এবং এমআইটিও। তাই একাধিক কাপড়ের মাস্ক তৈরী করে নিয়মিত পরিষ্কার করার মাধ্যমে ব্যবহার করার আইডিয়া খারাপ না। এটি আপনাকে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাবে না। কিন্তু আপনি আক্রান্ত হলে অন্যকে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন। সবাই ব্যবহার শুরু করলে আক্রান্তের হার কমাতে সাহায্য করতে পারে। বাইরে থেকে এসেই সেই মাস্ক ধুয়ে ফেলবেন। তারপর অন্যটি ব্যবহার করবেন।
কাপড়ের মাস্কের চাইতে সার্জিকাল মাস্ক ভালো। কিন্তু সার্জিকাল মাস্ক মাত্র একবার ব্যবহার করা যায়। এটি সহজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং এত শত শত মাস্ক কিনে ব্যবহার করা খুব কম মানুষের পক্ষেই সম্ভব। তাই বিকল্প হিসেবে পরিষ্কারযোগ্য কাপড়ের মাস্কের কথা বলছি। মনে রাখবেন করোনা ভাইরাসকে ঘিরে যে জ্ঞান, ধারণা তা প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার আলোকে। তাই সতর্কতার সাথে তথ্য আহরণ করুন। ঘরে থাকুন। সুস্থ থাকুন।
লেখক: শামীম আহমেদ
সোশাল এন্ড বিহেভিয়ারাল হেলথ সায়েন্টিস্ট,
ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টো।