Mon, 13 Mar, 2017 12:57:44 PM ![]() নতুন বার্তা ডেস্ক
নয়া দিল্লি: ত্রিশঙ্কু গোয়ার দখল নিল বিজেপিই। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও তাকে সামনে রেখে সরকার গড়ার চেষ্টায় নেমেছিল বিজেপি। সরকার গড়তে দরকার ২১ বিধায়কের সমর্থন। রাজ্যপালের কাছে আজ মোট ২২ জন বিধায়ককে হাজির করে সরকার গড়ার দাবি জানান পারিকর। রাতেই তাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের চিঠি পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল মৃদুলা সিন্হা। একক দল হিসেব সংখ্যায় এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় কংগ্রেস বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছে। গত কাল অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, সংখ্যা না থাকলেও গোয়াতে বিজেপিই সরকার গড়বে। লক্ষ্য পূরণে আজ সকালেই গোয়াতে পৌঁছে যান নিতিন গডকড়ী। গোয়া বিধানসভার ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৩টি। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে ১৭টি আসন। ১টি আসন পাওয়া শরদ পওয়ারের দল এনসিপি কংগ্রেসের পাশে রয়েছে। ফলে সরকার গড়তে কংগ্রেসের দরকার ছিল মাত্র ৩টি আসন। তুলনায় লড়াইটি কঠিন হওয়া সত্ত্বেও আজ সকাল থেকেই কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিনের শেষে তাঁদের শক্তি দাঁড়ায় ২২। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও নির্দলেরা ৩টি করে আসন পেয়েছেন। গডকড়ী গোয়া পৌঁছেই ওই ৯ বিধায়কের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এঁদের মধ্যে প্রাক্তন শরিক মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি আগেই আশ্বাস দিয়ে রেখেছিল, বিজেপিকে তারা সমর্থন করবে। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি এবং নির্দল বিধায়কদের প্রতিনিধি গোবিন্দ গাউড়ে জানিয়ে দেন, পারিকরের নেতৃত্বে সরকার গড়া হলে তাদের সমর্থন করতে আপত্তি নেই। মনে করা হচ্ছে, ওই ৯ জনকে পাশে পেলে তবে গোয়া হাতে রাখা যাবে, এটা বুঝেই সম্ভবত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পারিকরকে রাজ্য রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে রাজি হয়েছেন। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে থেকেই দাবি ওঠে পারিকরকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার গড়ুক দল। সরকার গড়ার লক্ষ্যে কংগ্রেসও আজ দিনভর গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও নির্দল বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির অগ্রাসী মনোভাবের কাছে শেষ পর্যন্ত তাদের হার মানতে হচ্ছে বুঝে পারিকর নিয়োগপত্র পাওয়ার আগেই বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলতে শুরু করে কংগ্রেস। দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘গোয়ায় সরকার গড়তে বিধায়ক কেনাবেচায় নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতারা।’’-আনন্দ বাজার। নতুন বার্তা/ওএফএস
আরো খবর
|
সর্বশেষ সংবাদ
|