প্রযুক্তিহোমপেজ স্লাইড ছবি
ইউটিউবের সবচেয়ে ধনী শিশু রায়ান

আবদুল্লাহ আল মুনতাসির: শুনতে অন্যরকম মনে হলেও এটিই সত্যি যে আর দশটি শিশুর মতো না রায়ান। কে এই রায়ান? কেনই বা ও অন্য সব বাচ্চাদের মতো না? না ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এমন কিছু হয়নি রায়ানের। কিন্তু ভাবতে পারবেন না ৭ বছর বয়সী এই শিশু হয়তোবা আপনার আমার তেমন পরিচিত না হলেও, ইউটিউব দুনিয়া কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। আজকে আমরা প্রযুক্তির অনন্য অবদান ইন্টারনেটের দুনিয়ার, ক্ষুদে এই উজ্জ্বল তারকা রায়ান ও তার ইউটিউব কন্টেন্ট সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো।
– রায়ান নাম (৭ বছর)
– ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইউটিউবে
– ২০১৮ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী ইউটিউব চ্যানেল (ফোর্বস)
– ১৮ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার ও ২৭ বিলিয়নের বেশি ভিউ (সোশাল ব্লেড)
রায়ানের ইউটিউবার হয়ে উঠার পিছনে আর কেউ না রায়ান নিজেই দায়ী। চার বছর বয়সী রায়ান ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইউটিউবে অন্য আরেকটি শিশুদের চ্যানেল দেখতে দেখতে তার বাবা মার কাছে জানতে চায় যে, কেন সেও ভিডিও তে থাকতে পারবেনা? তারপর আর ফিরে পেছনে তাকায়নি রায়ান। বাবা মায়ের সহায়তায় ওয়ালমার্টের মতো বড় কোম্পানিতে রায়ানের নামে খেলনার সিরিজ পর্যন্ত রিলিজ হয়। গড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার আয় করে প্রতি বছর “রায়ান টয়েস রিভিউ” নামের চ্যানেলটি।এবং গত বছর ফোর্বসের হিসেবে সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স পূর্ব আয়ের অধিকারী হিসেবে দাঁড়ায়, যা ২২ মিলিয়নের অধিক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বিতর্কিত ইউটিউবার জেক পল যে ২১.৫ মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ নিয়ে আসে।
রায়ান টয়েস রিভিউ চ্যানেলে প্রধানত রায়ানকে বিভিন্ন খেলনা দিয়ে খেলতে বা বাচ্চাদের ক্যান্ডি/চকলেট খেতে দেখা যায়। তার সর্ব প্রথম ইউটিউব আপলোডে দেখা যায় রায়ানকে একটি খেলনা লেগো ট্রেন কিনে আনতে এবং তা দিয়ে খেলতে। সাধারণত বাচ্চারাই এসব ভিডিও দেখে থাকে। তার চ্যানেলের প্রায় অর্ধেক দর্শক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। শুধু মাত্র রায়ানের রিভিউয়ের কারনে খেলনার বাজারে নড়চড় হতে পারে, এত টুকু প্রভাব বিস্তার করে এই চ্যানেল। অনেকে রায়ানের খ্যাতিকে বিখ্যাত কার্টুন স্পঞ্জববের সাথেও তুলনা করে।
রায়ানের বাবা মায়ের মতে, যতদিন পর্যন্ত রায়ানের ভাল লাগবে ভিডিও বানাতে, ততদিন পর্যন্ত ইউটিউবের জন্য কাজ করে যাবে তারা।