বিনোদনহোমপেজ স্লাইড ছবি
একজন অভিনেতার গল্প

দারুচিনি দ্বীপ সিনেমার গল্প তারুণ্যে ভরা কয়েকজন বন্ধুর গল্প। সেখানে কেউ উচ্চবিত্ত আবার কেউ নিতান্তই নিম্নমধ্যবিত্ত। এই সিনেমায় শুভ্র,জরী চরিত্র প্রধান ভাবে বিকশিত হয়েছে,বাবা চরিত্রগুলোও পেয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এদের মাঝেও বিশেষ হয়ে আছেন বল্টু রুপী অয়ন চরিত্রটি। শুভ্র চরিত্রটি প্রতিনিধিত্ব করে ধনী বাবা আদুরে পুত্রের চরিত্রে,যদিও এই চরিত্রের বিশেষত্ব আছে। তবে বল্টু চরিত্রটি আমাদের দেশের অনেক তরুন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
টিউশনি করে জীবন চালায়, এর মাঝেও বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার নানারকম স্বপ্ন দেখে। কখনো যাওয়া হয় আবার টাকার জোগাড় না হলে যেতে পারে না। এই সিনেমায় বল্টু চরিত্রে এমনই অভিনয় করেছিলেন তখনকার উঠতি অভিনেতা ‘মোশাররফ করিম’। একই ছবিতে অনেক মহীরুহ থাকার কারনে হয়তো জাতীয় পুরস্কার জিততে পারেন নি,তবে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলেন। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মোশাররফ করিম কে দারুচিনি দ্বীপ যাবার জন্য টাকা দেয়া প্রিয় বাবা আবুল হায়াত।
ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, চলচ্চিত্রে এটিই মোশাররফ করিমের সেরা চরিত্র ও অভিনয়। ‘কোহিনূর,আই তোয়ারে ভালোবাসি’! মাতাল হয়ে নিজের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করা টেলিভিশন সিনেমার মজনু চরিত্রটিও নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অর্জন। নির্মাতা ফারুকী জুরি বোর্ডে ছবি জমা না দেওয়ার কারনে এই ছবিতেও জাতীয় পুরস্কার পাওয়া হয় নি। ‘জালালের গল্প’ সিনেমার জন্য তো ধরেই নিয়েছিলাম খল চরিত্রে তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন, কিন্তু বিধিবাম জুরি অবিচক্ষণতায় ভাগ্য সহায় হয় নি। তৌকীর আহমেদের পাঁচটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। জয়যাত্রায় ছিলেন মিষ্টি বিক্রেতা আর রুপকথার গল্পে ছিলেন পকেটমার।
দুইটাতেই তিনি ছিলেন স্বল্প সময়ের জন্য। জয়যাত্রার জন্য গানও লিখেছিলেন। অজ্ঞাতনামা ও হালদায় অবশ্য তেমন কিছু করার ছিল না, আর দারুচিনি দ্বীপ তো সেরা অর্জন। টেলিভিশনের আগে ফারুকীর থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বারে অভিনয় করেছিলেন। মুস্তাফা কামাল রাজের ‘প্রজাপতি আর নূর ইমরান মিঠুর ‘কমলা রকেট’ ‘ এ করেছেন অসাধারণ অভিনয়। মোশাররফ করিম টিভি নাটকের জনপ্রিয়তম অভিনেতা, চলচ্চিত্রেও দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তবে রুপালি পর্দায় আরো বিশেষ ভাবে দ্যুতি ছড়াবেন এটাই প্রত্যাশা। শুভ জন্মদিন! মোশাররফ করিম।