বিনোদন
একজন নারীর এগিয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে যে সিনেমা

নাম দেখে মনে হয়েছিল ভারতীয় দেশভক্তির আরেক বিরাট বীরত্বের রূপকথা হবে। কিন্তু বাস্তবে ফোকাস ছিল নারীর কর্মদক্ষতায়। ভারতের প্রথম নারী এয়ারফোর্স অফিসার গুঞ্জন সাক্সিনার জীবনীভিত্তিক সিনেমা। একজন মেয়ের স্বপ্নপূরণের প্রতিজ্ঞা ও পরিশ্রম, বিপত্তি ও বিরোধ এতে তুলে আনা হয়েছে। কর্মস্থলের পরিবেশ-প্রতিবন্ধকতা, পুরুষের দৃষ্টিসংকীর্ণতা কাটিয়ে সাফল্যের সংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ছোটবেলায় বিমানে চড়তে গিয়ে জানালা দিয়ে মেঘ দেখতে চেয়েছিল গুঞ্জন। পাশে বসা ভাই ঘুমের অসুবিধায় তাতে বাধ সাধছিল। এটা দেখে এয়ারহোস্ট তাকে নিয়ে গেলেন ককপিটে। মুক্ত আকাশে উড্ডয়ন দৃশ্যের মুগ্ধতা থেকে তখনই স্বপ্ন দেখেছিল ভবিষ্যতে পাইলট হওয়ার। কিন্তু চল্লিশ বছর আগের সময়ে একজন বালিকার পক্ষে চাইলেই কি সেই শখ পূরণ হতো?
কী ঘটেছিল গুঞ্জনের জীবনে? পরিবার প্রতিবেশের অসুবিধা, আর্থিক অক্ষমতা, শারীরিক যোগ্যতার ঘাটতি তিনি কি কাটাতে পেরেছিলেন? কেমন তখনকার দৃশ্যপট? সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র সেই গল্পটাই বলে।
মুভিটার উপযোগিতা শুধু নারীর যোগ্যতায় নয়, পাইলটের প্রসঙ্গেও নয়। ছেলেমেয়ে যেই হোক, একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্নের পেছনে সাধনা ও তার সক্ষমতা প্রমাণের অনুপ্রেরণা। আরেকটা বিষয় এই যে, সবসময় নিয়ম মেনে চলে বা উর্ধ্বতনের আনুগত্য করে বিশেষত্ব প্রমাণ করা যায় না। কখনো কখনো শৃঙ্খলা ভাঙতে হয়, জরুরি মুহূর্তে কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করেই সাহসিকতার পরিচয় দিতে হয়। সেই ঝুঁকিতে সফল হলে সবাই স্যালুট দেয়। দরকার সততা ও আত্মবিশ্বাস।
- তানিম ইশতিয়াক