বিনোদনহোমপেজ স্লাইড ছবি
ওসিতা ইহেমি সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন?

মঞ্জুর দেওয়ান: ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরেই ‘কমবয়সী’ একটি ছেলের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাচ্চা চেহারার দেখতে দুটি ছেলের কমেডি ভিডিও মেমে হিসেবে বেশ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মজার ব্যাপার হলো, দেখতে বাচ্চা হলেও তথাকথিত এই ছেলের বয়স আসলে ৩৭ বছর! পেশায় তিনি একজন অভিনেতা। নাইজেরিয়ান চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন ১৬ বছর বছরের অধিক সময় ধরে। মেধা আর দারুণ অভিনয়শৈলী দিয়ে নাইজেরিয়ান চলচ্চিত্রের পাশাপাশি দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পেয়েছেন ওসিতা ইহেমি নামের ভাইরাল হওয়া ছেলে! নতুন বার্তার পাঠকদের জন্য ফেসবুকের জনপ্রিয় এই মেমে ক্যারেক্টারের জীবনের কিছু অংশ থাকছে এই আয়োজনে।
ওসিতা ইহেমির যে ভিডিও কিংবা স্থির চিত্র গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছে তার বেশির ভাগ-ই ‘আকি না আকউয়া’ চলচ্চিত্র থেকে নেয়া। এই ছবিতে অভিনয়ের পর সবাই তার আসল নাম ভুলে পাও পাও নামে ডাকতে শুরু করে! উল্লেখ্য, আকি না আকউয়া চলচ্চিত্রে তার অভিনীত চরিত্রের নাম ছিলো এটি। ইহেমির অভিনীত সেই চলচ্চিত্রে আরোও একটি শিশুর চরিত্রটিতে সঙ্গ দিয়েছেন চিনেদু ইকেদিয়েজি। দুজন মিলে সিনেমাটিকে কতোটা প্রাণবন্ত করে রেখেছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ওসিতা ইহেমি লিখে সার্চ দিলেই এই সিনেমার ক্লিপ চলে আসে! ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির IMDB রেটিং ৭.৩!
ওসিতা ইহেমির জন্ম ১৯৮২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। ইমো স্টেটের ইম্বাইতলি শহরে জন্ম নিলেও ইহেমির বেড়ে উঠা আবিয়া স্টেটে। শিক্ষার দিক দিয়েও বেশ পোক্ত নাইজেরিয়ার জনপ্রিয় এই অভিনেতা। লাগস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছেন। তবে পড়াশুনা করা বিষয়ে থিতু হওয়া হয়ে উঠেনি। ছোটখাটো গড়নের হলেও নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছেন বড় পরিসরে। ঝুকেছেন চলচ্চিত্রের দিকে। সফলও হয়েছেন। পৃথিবীতে তার নাম সবাই না জানলেও তার চেহারা হয়তো সবারই পরিচিত!
২০০২ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখার পর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ওসিতা ইহেমির। শুরুর দিকে দুষ্টু বাচ্চা কিংবা সন্তানের ভূমিকায় চরিত্র রূপদান করলেও পরবর্তীতে পরিপক্ব চরিত্রে দেখা গেছে নলিউডের এই অভিনেতাকে। যার সুবাদে ২০০৭ সালে আফ্রিকা মুভি অ্যাওয়ার্ডসের উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস ইহেমির ঝুলিতে ঢুকেছে।
এছাড়া ২০১৪ সালে আফ্রিকা ম্যাজিক ভিউয়ার্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ডসের সেরা অভিনেতার পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। ইহেমির ছোটখাটো গড়ন তার চলার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি। বরং অন্যান্য অভিনেতা থেকে আলাদা প্রমাণ করতে সাহায্য করেছে। বর্ণিল ক্যারিয়ারে মানুষকে হাসানোর পাশাপাশি বহুমুখী চরিত্রে রূপদান করে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র বিকাশে কতটা অবদান রেখেছেন ওসিতা ইহেমি তা দুই কলম লিখে শেষ করবার নয়। যে অবদানের প্রতিদানও পেয়েছেন ইহেমি। নাইজেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গুডলক জনাথন কর্তৃক মেম্বার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ফেডারেল রিপাবলিক এ ভূষিত হন লিটল ম্যান ওসিতা ইহেমি!