লাইফস্টাইলহেলথ টিপস
করোনা ভ্যাকসিনের ইতিবৃত্ত

‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নাল সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ, এক ডোজেই ৯০% মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে ৯০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারার অবস্থায় আছে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন ।
অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড। প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট প্রকাশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ও সন্তোষজনক। ২০১৩ সালে যখন আফ্রিকা থেকে ইবোলা ভাইরাসের যাত্রা! মহামারী আকার ধারণ করে। সেসময় আলোর দিশারী হিসেবে, ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন অক্সফোর্ড বিজ্ঞানী অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট।
করোনায় যখন সমগ্র বিশ্ব অস্থিতিশীল। বৈশ্বিক অবস্থান যখন এলোমেলো, কোটি কোটি মানুষ অস্বাভাবিক জীবন যাপন পালনে বাধ্য, আবারো আলোকবর্তিকা নিয়ে সারাহ গিলবার্ট এর নেতৃত্বে তার টিম। এই ধরণী সারাক্ষণ জেগে থাকতো, জাগিয়ে রাখতো মানুষ গুলো এই ধরণীকে। ঢাকায় যখন গভীর রাত তখন ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ভরদুপুর। বিশ্বের কোন না কোন ধর্মশালায় সবসময়ই ধর্মপ্রাণ মানুষের আনাগোনা ছিল। সারাক্ষণই ধর্মীয় চর্চায় মুখরিত থাকতো সব দেশের ধর্মশালা। শিল্প, সংষ্কৃতি, ফ্যাশন, নাট্যকলা খুঁজা মানুষ গুলো প্যারিস, লন্ডন, রোম, নিউইয়র্কে ভীড় জমাতো৷ কোন না কোন থিয়েটারে অভিনয় চলতো! অভিনয় উপভোগ করতো পৃথিবীর মানুষজন। কেউ বা স্রষ্টার সান্নিধ্যের জন্য তাঁর দরবারে মাথা নোয়াতো!
চেনা পৃথিবীটা অচেনা হয়ে যায় এই করোনায়, তাই ধরিত্রীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে একটা ভ্যাকসিন জরুরি। প্রকৃতির সাথে আপোষ করে স্বাভাবিকতা বজায় রাখার জন্য। আবারো স্রষ্টার কৃপায় হয়ত আমরা সারাহ গিলবার্টের মাধ্যমে আশার আলো দেখবো৷ এই ধরিত্রীর প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে আনানোর জন্য সকল যোদ্ধা ও গবেষকদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।
- ওয়ারিদ আহমেদ তরিন