
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও কোচিংয়ে লম্বা সময়ের অভিজ্ঞতা আছে ডমিঙ্গোর। ২২ বছর বয়সেই পেয়ে যান কোচিংয়ের প্রথম ডিগ্রি। স্পোর্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মার্কেটিংয়ের ওপরও ডিগ্রি আছে তার। পরে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই প্রোটিয়াদের ইস্টার্ন প্রোভিন্স যুব দলের কোচ হন।তারপর শুধুই এগিয়ে চলা। একযুগ ধরে নানা সময়ে সাউথ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৯, বি-দল ও এ-দল ও জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলান। ২০০৫ সালে দেশটির ঘরোয়া দল ওয়ারিয়র্সের কোচের পদ পান।
২০১২ সালে গ্যারি কারস্টেনের সহকারী থেকে সাউথ আফ্রিকা টি-টুয়েন্টি দলের হেড কোচে উন্নীত হয়েছিলেন। পরের বছরের আগস্ট পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলান। ২০১৩ সালে কারস্টেনের বিদায়ের পর তিন সংস্করণেই প্রোটিয়াদের হেড কোচের পদ পান। তার কোচিংয়ে ১৩ টেস্ট সিরিজের ৮টিতে জেতে সাউথ আফ্রিকা। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাত থেকে দেশটিকে টেবিলের দুইয়ে তুলেছিলেন।
ডমিঙ্গোর সময়ে ২২টি ওয়ানডে সিরিজ খেলে ১৪টিতে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। আইসিসি ওয়ানডে টেবিলের শীর্ষ দল হওয়ার গৌরবও অর্জন করে। একই সময়ে টি-টুয়েন্টিতে ৪২ ম্যাচে ২৩ জয় এসেছে আফ্রিকানদের।
২০১৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমলা-ভিলিয়ার্সদের সেমিফাইনালে নিয়ে যান তিনি। বিশ্বকাপের নকআউটে প্রোটিয়াদের একমাত্র জয়টিও ডমিঙ্গোর আমলেই। পরে ২০১৭ সালে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে আবারও এ-দলের কোচিংয়ে আনা হয় তাকে।
ডমিঙ্গোকে নিয়ে বিশ্বকাপের পর নতুন করে গোছানো বাংলাদেশ দলের কোটিংস্টাফ প্যানেলে বেশিরভাগই এখন আফ্রিকান। বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাউথ আফ্রিকার সাবেক পেসার চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট। ব্যাটিং কোচে বহাল আছেন সাউথ আফ্রিকারই সাবেক নিল ম্যাকেঞ্জি। আর ফিল্ডিং কোচ সাউথ আফ্রিকার রায়ান কুক। শুধু স্পিন কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে। মানে দলের ৫ কোচের ৪ জনই সাউথ আফ্রিকান।
এইবার দেখার অপেক্ষা সব সাউথ আফ্রিকান মিলে টাইগার দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে, আর সফলতাও কতটা এনে দিতে পারে।