ক্রিকেটখেলাহোমপেজ স্লাইড ছবি
টিম বাংলাদেশের জন্য যে কন্ঠ দিয়ে যুদ্ধ করেন

এস.কে.শাওন: ক্রিকেটে তিনি যখন বাংলাদেশের হয়ে কমেন্ট্রি বক্সে ধারাবিবরণী দেওয়া শুরু করেন, তখন অধিকাংশ ম্যাচেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রত্যাশা করতো সম্মানজনক পরাজয়! সেই সময়গুলোতে কমেন্ট্রি বক্সে এমন একটি দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাও ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। বাংলাদেশ দলের নাজুক পরিস্থিতিতে তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে অপমানের যন্ত্রণা। তবুও তিনি থমকে যাননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্রান্তিকালেও কন্ঠ দিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন আতাহার আলী খান। ইতিমধ্যে তিনি ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এমনকি বিশ্বের কয়েকজন স্টাইলিশ ধারাভাষ্যকারদের মধ্যেও আতাহারের নাম রয়েছে!
জাতীয় দলের হয়ে ১৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ছোট্ট এই ক্যারিয়ারে তাঁর ৬ উইকেট শিকারের পাশাপাশি সংগ্রহ করেন ৫৩২ রান। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিবেচনায় এ পারফরম্যান্স নজরকাড়া না হলেও পূর্বে এটিই ছিল উল্লেখযোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলকে জাতীয় ক্রিকেটে শিরোপা জিতিয়েছিলেন। এমনকি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের অন্যতম নায়কও এই আতাহার।
১০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার সমাপ্তি ঘটার পর ক্রিকেটের সাথেই রয়ে গেছেন আতাহার। কারণ ক্রিকেট যে তাঁর রক্তে মিশে গেছে! ধারাভাষ্যে বিশ্বে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। যদিওবা মাঝে মাঝে আইসিসির বড় টুর্নামেন্টগুলোতে সুযোগ মিলে না তাঁর। যেমন ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি আতাহারের।তারপরও তিনি দেশী চ্যানেলের বিভিন্ন টকশোতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে তাঁর বিশ্লেষণ চালিয়ে গেছেন।
আতাহার আলী খান যখন ধারাভাষ্য দেওয়া শুরু করেন তখন বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা বরণ করে নিতো। অর্থাৎ তখন আতাহারও কথার লড়াইয়ে পরাজয় মেনে নিতেন। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এখন বিশ্বের যেকোন দলের জন্যই সমীহ জাগানো শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, সাউথ আফ্রিকা,উইন্ডিজের মতো দলকে সিরিজ হারায়। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে ছেলে খেলা করে! আর নিউজিল্যান্ডকে তো দু’বার দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে টিম বাংলাদেশ। তখনই হোয়াইটওয়াশ থেকে ‘বাংলাওয়াশ’ নামের প্রচলন ঘটে। এ নামের প্রবক্তা স্মার্ট আতাহার আলী খান। বাংলাদেশ যখন বিশ্বের ক্রিকেট পরাশক্তি দলগুলোকে পরাজিত করে তখন কমেন্ট্রি বক্সেও গলা ফাটিয়ে বিজয়ের গান গেয়ে যান আতাহার!