বই Talkবাক্যহোমপেজ স্লাইড ছবি
ডায়েরি লিখেই পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত হয়েছেন যে কিশোরী

রবিউল করিম মৃদুল: ডায়েরি লিখে পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত হয়ে গেছেন যে কজন মানুষ, তারমধ্যে মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী অন্যতম। তার এই ডায়েরি বিশ্বসাহিত্যে দখল করে নিয়েছে বিস্ময়কর এক জায়গা। ৭০ টির অধিক ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে! বিক্রি হয়েছে লক্ষ লক্ষ কপি। অথচ তিনি ডায়েরিটা লিখেছিলেন মাত্র ২ বছর ১ মাস! ১৩ বছর বয়স থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত। এর পর আর লিখেননি! কেনো? লিখেননি কারণ, এরপর তিনি আর বেঁচেই ছিলেন না।
মেয়েটির নাম আনা ফ্রাঙ্ক! নিজের ১৩ তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে সোনালী বা রূপালী রঙের একটা ডায়েরি পেয়েছিল সে। ১৯৪২ সালের কথা। পৃথিবীতে তখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। চলছে হিটলারের নাৎসী বাহিনীর তাণ্ডব, ইহুদি নিধন! এমনই হিংস্রতা নাৎসী বাহিনী শুরু করেছে যে, আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীকেও দেশ ছাড়তে হলো প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে। আনা ফ্রাঙ্কের বাবা ছিলেন ইহুদি, বড় ব্যবসায়ী। দেশ ছাড়তে হলো তাকেও। পরিবার নিয়ে চলে এলেন আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডে। কিছুদিনের মধ্যে নেদারল্যান্ডও দখল করে নিলো নাৎসীরা।

যুদ্ধের বেগ তখন কমে এসেছে। আর কিছুদিন গেলেই হয়ত প্রাণে বেঁচে যেত তারা। কিন্তু তার আগেই ১৯৪৪ সালের এক সকালে গোপন কক্ষ থেকে তাদেরকে ধরে ফেলে নাৎসী বাহিনী! পাঠিয়ে দেয় বন্দী শিবিরে। সেই বন্দীশিবির থেকে আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারেনি তারা কেউই। সেখানে থাকা অবস্থাতেই পরিবারের সকলের সাথে জীবনাবসান ঘটে আনা ফ্রাঙ্কের। কোনোরকমে বেঁচে যায় কেবল তার বাবা, অটো ফ্রাঙ্ক! অটো ফ্রাঙ্ক ফিরে এলে তার হাতে এসে পৌছে আনার ডায়েরিটা। তাদের এক কর্মচারি সেই সুরঙ্গ কক্ষ থেকে সেটি উদ্ধার করেছিল তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে।