প্রিয় তারকাবিনোদনহোমপেজ স্লাইড ছবি
দুর্দান্ত এক অভিনেতার অন্যরকম জীবন

কিশোর পাশা: এই লোকটি কেয়ানু রিভস। তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেতা এবং তাঁর অভিনয়ে বহুমুখিতা এবং শৃঙ্খলার জন্য নিউ ইয়র্ক টাইম দ্বারা প্রশংসিতও হয়েছেন। তিনি সত্যই একটি অনুপ্রেরণা অভিনেতা হিসাবে। এবার আসল কথাই আসা যাক। কেয়ানু সর্বদা গণপরিবহন এবং মেট্রোয় ভ্রমণ করে।
লোকজন সর্বদা দেখে যে সে একা একা খাচ্ছে এবং নিজেই নিজের সময় উপভোগ করছে। প্রচুর লোকেরা এ জন্য কেয়ানুকে প্রশ্ন করেছিলেন। তার এই একা থাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মিমে ভরে গিয়েছিল। কেয়ানু একা একা বেঞ্চে বসে খাবার খাচ্ছিল এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়া কে উন্মাদ করে তুলে ছিল। সারা বিশ্বের মানুষ তার ছবিতে মিম পোস্ট করেছিলেন। তিনি হয়ে উঠলেন একটি ইন্টারনেট মিম সেনসেশন। ক্যাপশনগুলি এমন ছিল। দরিদ্র কেয়ানু রিভস। দুঃখী কেয়ানু রিভস। চিয়ার আপ কেয়ানু রিভস।
এমন কি বেসরকারী ভাবে ১৫ জুন দিনটি একটি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল কেয়ানু রিভস কে চিয়ার আপ করার জন্য। এটা করেছিল তার একনিষ্ঠ সমর্থকরা। তাকে সর্বদা খাওয়া, ভ্রমণ সব একা করতে দেখা যায় । এর কারণ জানতে মিডিয়া খুব আগ্রহী ছিল। তার উত্তরটি খুব অনুপ্রেরনামূলক ছিল। “আমাকে একজন আগেরদিন বলেছিলো তার একা মানুষদের দেখলে খুব খারাপ লাগে কারণ তারা সবসময় নিঃসঙ্গ থাকে। আমি তাকে বলেছিলাম এটা সত্যি না! আমি নিঃসঙ্গ কিন্তু আমি একাকিত্ব অনুভব করিনা। আমি নিজেকে বাইরে নিয়ে যাই। একা একা খাওয়া দাওয়া করি। নিজে নিজের জন্য জামা কাপড় কিনি। আমি নিজের সাথে খুব ভালো সময় কাটাই। যখন আপনি নিজের খেয়াল নিজেই রাখা শিখে যাবেন তখন সঙ্গী পাওয়া দরকার থেকে এক বিকল্পে পরিণত হবে।”
কিন্তু তার গল্পেরও এক ব্যাকস্টোরি আছে। কেয়ানুর জেনিফার সিম নামে একটি বান্ধবী ছিল। তাদের ১৯৮৮ সালে দেখা হয়েছিল এবং তারা পার্টনার ছিল। কিছু মাস পর তারা বাচ্চা আশা করছিল এবং তার নাম আভা আরচার সিম রিভস রেখে ফেলেছিল। তারা সুখী ছিল কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হল না। বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই মারা যায়। কেয়ানু এবং জেনিফার এর ফলে ভেঙে পড়ে।
তারা দুজনেই আলাদা হয়ে গেল জেনিফার হতাশায় ভুগছিলেন এবং একটি দুর্ঘটনায় মারা যান।এই সময়ে ক্যানু ম্যাট্রিক্সের সিনের শুটিংয়ে খুব ব্যস্ত ছিলেন। সেই থেকে কিয়ানুকে সবসময় একা ও একাকী দেখা গেছে। কিন্তু তবুও তিনি দুঃখী না। নিজের সুখ নিজেই খুঁজে নিয়েছেন।