বিনোদনহোমপেজ স্লাইড ছবি
দ্য গডস মাস্ট বি ক্রেজি: সভ্যতা ও সংস্কৃতির দ্বন্ধ

ইফতেখার আলম: কালাহারী মরুভূমির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ৯মাস শুষ্ক থাকে, এই অঞ্চলের তৃণভোজী প্রানীরা পানির অভাব দেখা দিলে অন্যত্র চলে যায়। শুধু বুশম্যান আদিবাসীরা এইস্থানে সর্বদাই অবস্থান করে। পানি সংগ্রহের অদ্ভূত উপায় রপ্ত করে একটি পরিবার বানিয়ে বাস করে, মাইলের পর মাইল দূরত্বে অন্য পরিবারের সাথে খুব কদাচিৎ দেখা হয়। এমনই একটি হলো কাই এর পরিবার।
একদিন সাদা ধোঁয়া বের শব্দ করে উড়ে যাওয়া (বিমান) অদ্ভুত প্রাণী থেকে একটি কোকের কাচের বোতল কাই এর পরিবারদের কাছে পড়ে। পানির মত দেখতে কিন্তু শক্ত এই জিনিসের কাজ কি তারা বুঝতে পারে না। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ মনে করে আনন্দে নিয়ে নেয় তারা। এই শক্ত জিনিস তাদের অন্য কাজে আসে, এটা দিয়ে সুর হয়, শক্ত জিনিস ভাংগা যায়, পানি রাখা যায়! ক্রমশই সবার প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায় সবার কাছে। প্রশ্ন জাগে এত দরকারি একটা জিনিস স্রষ্টা একটা কেন পাঠালো!
বিভিন্ন প্রয়োজনে এই একটা বোতল নিয়ে সবার মধ্যে কলহের সৃষ্টি হলো। তাদের সুখ শান্তি বিনষ্ট হয়ে গেল। তারা স্রষ্টার উদ্দেশ আকাশে বোতল ছুড়ে মারলো, কিন্ত স্রষ্টা গ্রহণ করলেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া পৃথিবীর শেষ প্রান্তে ফেলে আসা হবে এই খারাপ বস্তুটিকে। কালাহারীর অপরপ্রান্তে আবার সভ্য সমাজ, সেখানে লেগেছে ইউরোপীয় ধাচে শহর গড়ার হাওয়া, সরকারের বিরূদ্ধে বিদ্রোহীদের আক্রমণ, তাদের পালিয়ে কালাহারীতে চলে আসা, আবার সেই কালাহারীতে গবেষণা করছেন ড স্ট্যার্ন।
নানা নাটকীয়তার মধ্যে প্রশ্ন জাগে কাই কি পারবে সেই খারাপ বস্তুটিকে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে ফেলে আসতে? ১৯৮০ তে নির্মিত The Gods must be crazy এই ছবিটি দেখলে মনেই হবে না ‘৮০তে নির্মিত! ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন জিমি উস। ছবিটিতে বর্ণবৈষম্য, ধনী-গরীবের ব্যবধান ও ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়িকে উপস্থাপন করা হয়েছিল তীব্র শ্লেষাত্মক ভাষায়।
এত সুন্দর চিত্রনাট্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। তার উপর ছবির একেক দৃশ্য এমন হাস্যকর মন ভাল হয়ে যাবে হাসতে হাসতে। হাতের স্মার্টফোন আর ভার্চুয়াল দুনিয়া ফেলে দেখে ফেলুন ১৯৮০ তে আফ্রিকার কালাহারি নিয়ে নির্মিত অসধারণ একটা সিনেমা।