
শেখ মিনহাজ উদ্দিন: কমেন্টেটররা শুধু বাংলাদেশি তরুণদের নিয়েই প্রশংসা করছে কেন? কে কোন জেলা থেকে এসেছে। তাঁরা কত প্রতিভাবান ইত্যাদি ইত্যাদি-ই তাঁদের ধারাভাষ্যের একমাত্র টপিক। ইন্ডিয়ানদের নিয়েও তো কিছু বলা দরকার! তৌহিদ হৃদয়ের এমন ফিল্ডিং, এরপর ডিরেক্ট থ্রোয়ের মতো ফিল্ডিং একশন শেষবার দেখেছিলাম সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে।
২০০৯ এর ত্রিদেশীয় ফাইনালে সাকিব জয়াসুরিয়াকে একটা রান আউট করেছিলো। হৃদয়ের এফোর্ট দেখে সেটার করা মনে পড়ে গেছে! তানজিম সাকিবের প্রথম ওভারে সাক্সেনাকে করা থ্রোয়ের পরে ব্যাটসম্যানের দিকে তাকিয়ে এপোলজি করা উচিত ছিল। সাধারণত বোলাররা তাই করে। তবে পরের বলে সাকিবের বাউন্সারটা অসাধারণ ছিল। তবে ফিল্ডিংয়ে এফোর্ট, পুরো দলের চার্জড আপ ভঙ্গিমা মোটামুটি বুঝা যাচ্ছে! এইটা আশার ব্যাপার।
শুরুতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা শান্ত এবং কম্পোজড, শরিফুল-সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এখন পর্যন্ত প্যানিক হচ্ছে না। এটা একটু ভয়ের ব্যাপার। তবে মাত্রই তো শুরু। এখন পর্যন্ত প্রথম ৬ ওভারে সাকিব আর শরিফুলের টাইট বোলিং খুবই ইম্প্রেসিভ। বড়দের দলে কখনো টানা ৬ ওভার এমন প্রত্যেকটা বলই লাইনে রেখে ভ্যারিয়েশন রেখে সুইং-বাউন্স করতে দেখি নাই! একদমই মনে করতে পারছি না। নতুন ইতিহাস কি রচিত হবে এই তরুণ যোদ্ধাদের হাত ধরে? বাংলাদেশকে আরেকটি আনন্দের উপলক্ষ্য কি এনে দিতে পারবে ক্রিকেটের এই নবীন সৈন্যদল?