বিনোদন
নিটোল প্রেম আর সামাজিক অসংগতি নিয়ে ‘মায়াবতী’

আসলাম আনজুম: নামটা শুনেই কেমন যেন একটা মায়া মায়া ভাব চলে আসে তাই না? আসলে নামটা যতোটা না সুন্দর তার থেকে বেশি সুন্দর হচ্ছে সিনেমাটি। আপনাকে যদি বলা হয় বাংলা সিনেমার অবস্থা কেমন বা বাংলা চলচ্চিত্র আপনি দেখেন কিনা। আপনি বলবেন, ধূর! বাংলা সিনেমা কেউ দেখে নাকি। এসব সিনেমা চলে না। কিন্তু আপনাকে যদি আয়নাবাজি, স্বপ্নজাল, জাগো, মেড ইন বাংলাদেশ, ছুঁয়ে দিলে মন, হালদা, অজ্ঞাতনামা, ভুবন মাঝি, মনপুরা, কমলা রকেট, আলতাবানুর মতো সিনেমা দেখতে দেওয়া হয় তাহলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি আপনি বাংলা সিনেমার পুরোপুরি ফ্যান হয়ে যাবেন।
তেমনি একটা সিনেমা হচ্ছে আমাদের দেশের স্বনামধন্য নাট্য নির্মাতা অরুণ চৌধুরীর “মায়াবতী” । এটা কেমন সিনেমা বা কেমনই বা প্লট তা আপনি সিনেমাটি না দেখলে বুঝতে পারবেন নাহ। বলা যায় বাংলা সিনেমার এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই মায়াবতী। পরিচালকের এটা দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে আলতাবানু নামে তার আরেকটা অসাধারণ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন।
মায়াবতীতে আমরা দেখতে পারবো তিশা(মায়া) আর একজন ব্যারিস্টার এর মধ্যে গড়ে উঠা সুন্দর ভালোবাসা। যেই ভালোবাসা পুরো সিনেমাতে ছড়িয়ে দিবে একটা অপরূপ স্বাদ। যাকে বলে অমৃত! সিনেমার প্রথমেই মায়া নামে এক বাচ্চা মেয়ে তার মায়ের কাছ থেকে চুরি হয়ে যায়। তাকে দৌলতদিয়ার রেড লাইট এরিয়ায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে তাকে গড়ে তোলেন খোদা বক্স নামের একজন গানগুরু ওস্তাদ। এভাবে মায়া আস্তে আস্তে গানে পারদর্শী হয়ে উঠে। আর সেই গানের মায়ায় তার প্রেমে পড়ে যায় একজন ব্যারিস্টার(রোহান)। তাদের প্রেম ভালোভাবেই চলতে থাকে। হঠাৎ কোনো একটা খুনের জন্য মায়া ফেঁসে যায়। শুরু হয় নতুন গল্প। নতুন সংগ্রাম। কিভাবেই বা মায়া আর ইয়াশ প্রেম করে, কিভাবেই বা মায়া খুনের হাত থেকে রেহাই পাবে নাকি আদৌ পাবে না অথবা তাদের প্রেমের পরিণতি কি হবে তা জানার জন্য সিনেমাটি দেখতে হবে আপনাকে।
সবমিলিয়ে মায়াবতী নিয়ে যাবে আপনাকে এক অপরূপ, কুৎসিত সুন্দর ভালোবাসার জগতে। সুতরাং দেরী না করে দেখে ফেলুন জলদি আপনার পাশের প্রেক্ষাগ্রেহে বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন মাষ্টারপিস মায়াবতী।