প্রযুক্তিহোমপেজ স্লাইড ছবি
পৃথিবী কাঁপানো চারজন নারী হ্যাকার

এনামুল সাদিক: বর্তমান এই সুবিশাল তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বাঘা বাঘা প্রযুক্তিবিদদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হ্যাকিং জগতে দাপটে কাজ করছেন অনেক নারী হ্যাকার। আসুন জেনে আসি তাদের মধ্যে সেরা চারজন সুন্দরী নারী হ্যাকারের গল্প।
১.জুড মিহোন: জুড মিহোন ১৯৩৯ সালে আমেরিকার ইন্ডিয়ানাতে জন্ম গ্রহণ করেন। ইন্টারনেটের প্রথম দিকের উন্নয়নে তিনি নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে তার ক্যারিয়ার হ্যাকিং এর দিকে নিয়ে যান এবং ১৯৬৭ সালে তৈরি করেন প্রখ্যাত ‘সাইবারপাঙ্কস’ নামের হ্যাকিং গ্রুপ। তার জীবদ্দশায় যারা মনে করত, হ্যাকিং কিছুই না তাদেরকে তিনি প্রমাণ করেন যে, হ্যাকিং একটা ক্রিমিনাল আর্ট। তিনি হ্যাকিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপর অনেক বই লেখেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৩ সালে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তার বিখ্যাত উক্তি,”হ্যাকিং হচ্ছে তোমার সরকার, আইপি সার্ভার, তোমার ব্যক্তিত্ব অথবা ফিজিক্স এর সীমা অতিক্রম করার একটি চতুর প্রতারণা।”
২.ইং ক্র্যাকার: অবিশ্বাস্য মনে হলেও সাংহাই এর মেয়ে ইং ক্রেকার একজন হ্যাকিং এর শিক্ষক। তিনি তার ছাত্র ছাত্রীদের বেসিক হ্যাকিং শিক্ষা দেন যেন কারো আইপি কিভাবে পরিবর্তন করতে হয়। ৫ গিগা এর মধ্যে যেকোন সফটওয়্যারের ক্র্যাক বের করা করা তার কাছে ডাল ভাত। তিনি যে কোন সফটওয়্যার ক্র্যাক করতে পারেন বলেই তার নামের পাশে ক্র্যাকার শব্দটা জুড়ে দেয়া হয়েছে। হ্যাকিং এর জন্য তিনি টিউটোরিয়াল এবং কোর্স করান। আর এটাই তার আয়ের প্রধান মাধ্যম।
৩. শাও তিয়েন: শাও তিয়েন একজন চাইনিজ মেয়ে। এখানে উল্লেখিত সব হ্যাকারদের মধ্যে তাকে আমি সবচেয়ে সাহসী হ্যাকারই বলব। ২২০০ মেম্বারের ‘চায়না গার্ল সিকিউরিটি সিস্টেম’ নামে একটি হ্যাকিং গ্রুপ খুলে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই খ্যাতি লাভ করেন। গ্রুপটার প্রধান কাজ ছিল গুগল এর মত ক্ষমতাধর সার্চ ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে লড়াই। আর তাদের তীব্র সংঘবদ্ধ আক্রমনের কারনেই পরবর্তীতে গুগল তাদের সার্ভিস চায়না থেকে সরাতে বাধ্য হয়। ‘চায়না গার্ল সিকিউরিটি সিস্টেমকে’ পৃথিবীর সেরা হ্যাকিং গ্রুপ। তার আরেকটি বিশেষ গুণ হলো দেখতে অনেক সুন্দরী ছিল।
৪.জোয়ানা রোতকওস্কা: সব হ্যাকাররা যে খারাপ নয় তার একটা দারুণ উদাহারণ পোল্যান্ডের নাগরিক জোয়ানা রোতকওস্কা । ২০০৬ সালে ডেফকন কনফারেন্সে উইন্ডোজ ভিস্তার দুর্বলতা প্রকাশ করে তিনি আলোচনায় আসেন। তিনি ‘ব্লু পিল’ নামে একটি টেকনিক উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে একটি চলন্ত অপারেটিং সিস্টেমকে ভার্চুয়াল মেশিনে চালানো সম্ভব। নিজেকে ‘অপারেটিং সিস্টেম সিকিউরিটি অফিসার’ ভাবতে ভালোবাসেন। প্রায়ই বিভিন্ন সেমিনারে তাকে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়।