বিনোদনমিডিয়াহোমপেজ স্লাইড ছবি
ফারহান আখতারের অজানা অধ্যায়

পড়ালেখায় একদমই মন বসতো না ছেলেটার। কলেজের নাম করে সে বাসা থেকে বের হতো ঠিকই, কিন্ত গন্তব্য হতো অন্য কোথাও। ফলে বাধ্য হয়ে তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করলো কর্তৃপক্ষ। ছেলেটির বাবা ছিলেন বলিউডের সর্বকালের সেরা চিত্রনাট্যকারদের একজন। পড়ালেখা করতে যে ছেলের ভালো লাগছে না , সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। তাই আর জোরাজুরি করলেন না। ছেলেটা সারাদিন বাসায় শুয়ে-বসে কাটায়, টেলিভিশন আর কম্পিউটারে সিনেমা দেখে। এভাবে দুটো বছর কেটে গেলো।
মাঝখানে আবার ছেলেটার বাবা-মায়ের ডিভোর্স!! ছেলেটা আগে থেকেই চুপচাপ স্বভাবের ছিল, এই ঘটনার পরে আরও বেশি অন্তর্মূখী হয়ে পড়লো সে। এবার নড়েচড়ে বসলো ছেলেটা। না কিছু একটা করতেই হবে। তার বাবার রক্ত তো তার ধমনীতেও বইছে। অনেক চেষ্টা করে সিনেমাও বানালো। নাম ‘দিল চাহতা হ্যায়!’। ব্যাস ছেলেটার সফলতার গল্প শুরু। তারপর একে একে অভিনেতা,গায়ক,প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে ছেলেটা। সবক্ষেত্রেই সে সাফল্যের দেখা পেয়েছে। বলছিলাম ফারহান আখতারের কথা।
সে বাবার ছায়ায় পড়ে যেতে চাননি, চেয়েছেন নিজে আলাদা একটি নক্ষত্র হতে। ফারহান আখতার হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক। তিনি ১৯৭৪ সালের ৯ই জানুয়ারি ভারতের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। চিত্রনাট্যকার দম্পতি জাভেদ আখতার ও হানি ইরানির পুত্র ফারহান। তিনি পড়াশোনা করেন মুম্বইয়ের মানেকজি কুপার স্কুলে এবং তারপর মুম্বইয়েরই এইচআর কলেজে আইনবিদ্যায় ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তি হন।’লমহে’ (১৯৯১) ও ‘হিমালয় পুত্র’ (১৯৯৭) ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে তিনি বলিউডে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। যদিও ‘দ্য ফকির অফ ভেনিস’ ছবিতে তিনি অভিনেতা হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, কিন্তু তাঁর অভিনীত ও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি হল ‘রক অন!!’ (২০০৮)।
চিত্রনাট্য রচনার মাধ্যমে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করা করার আগে তিনি ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ (২০১১) ছবিটি প্রযোজনা করেন এবং সেই ছবিতে অভিনয়ও করেন। ২০১৩ সালে ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবিতে মিলখা সিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও অর্জন করেন।তিনি এখন পর্যন্ত ২টি ন্যাশনাল, ৮টি ফিল্মফেয়ারসহ মোট ৩২টি পুরষ্কার অর্জন করেছেন।