খেলাহোমপেজ স্লাইড ছবি
ফিরে দেখা বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ

মিজানুর রহমান টিপু: বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ তখন দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশই তখন বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছে। ভারত, পাকিস্তান এরপর শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেটের তীর্থ ভূমিতে মেলে টাইগারদের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। বুলবুল-নান্নুরা প্রথম আসরেই বিশ্বকে জাত চেনায়। সেই ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিধর দল আজ বাংলাদেশ। কিন্তু কেমন ছিলো বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ। আসুন জেনে আসি টাইগারদের প্রথম বিশ্বকাপ যাত্রার আদ্যোপান্ত।
বাংলাদেশ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে হতাশ করেনি। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল দু হাত ভরে নিয়েই দেশে ফিরে। বিশ্বকাপে নামার আগের বছরই নিজেদের প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় জয়টা মেলে এ বিশ্বকাপেই। যদিও প্রথম দুটি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খুব একটা পাত্তা পায়নি তারা। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পায় প্রত্যাশিত জয়। আগে ব্যাটিং করে মিনহাজুল আবেদীনের অপরাজিত ৬৮ রানে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে বাংলাদেশ। অথচ নান্নু বিশ্বকাপের দলেই ছিলেন না।
দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখেই সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। স্কটিশদের ১৬৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পায় বিশ্বকাপের প্রথম জয়। দ্বিতীয় জয়টি তো অবিশ্বাস্য। গ্রুপ পর্বে তখন চলছিল ফেভারিট পাকিস্তানের দাপট। একের পর এক জয় তুলে নেওয়া শক্তিশালী পাকিস্তানকেই কিনা হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে আকরাম খানের ৪২, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের ৩৯ ও খালেদ মাহমুদ সুজনের ২৭ রানে ভর করে ৯ উইকেট ২২৩ রান তোলে বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়ে টাইগারদের দারুণ সূচনা এনে দেন সুজন। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সুজনের কাঁধে চড়েই ঐতিহাসিক জয়টি পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে বেঁধে ফেলে ১৬১ রানে। ৬২ রানের সেই জয়টি খুলে যায় নতুন দিগন্ত। তারপরের গল্প শুধুই অর্জনের। তাই প্রথম বিশ্বকাপ বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমীদের স্মৃতিতে আজো অমলিন।