আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণরাজনীতিহোমপেজ স্লাইড ছবি
বর্ণবিদ্বেষ মুক্ত পৃথিবী গড়ার অক্লান্ত এক যোদ্ধা

সাউথ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপের ছোট্ট এক দ্বীপ। আটলান্টিক পাড়ের এই আইল্যান্ড রাজধানী কেপটাউন থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে।
এই কয়েক কিলোমিটারের রবেন আইল্যান্ড চারদিকেই চুপচাপ। নীল জলরাশির মধ্যে সমুদ্রের গর্জন ছাড়া একদিকে পরিত্যক্ত চুনাপাথরের খনি, গির্জা, গোরস্থান আর নির্বাসনের জন্য জেলখানা!
নোবেলজয়ী, প্রেসিডেন্ট, বর্ণবিদ্বেষের অবসান এবং মানবাধিকার অর্জনের অক্লান্ত যোদ্ধা তার জেল জীবন, নির্বাসিত জীবনের ২৭ বছরের ১৮ বছর রবেন আইল্যান্ড কারাগারের ৪৬৬ নম্বর বন্দি। তাঁর কোড ছিল ৪৬৬/৬৪।
ছোট্ট কুঠুরিতে খড়ের মাদুরে রাতের কয়েক ঘন্টা ঘুম। ভোর থেকে সারাদিন চুনাপাথর আর বনজঙ্গল পরিষ্কার করেই কাটাতে হয়েছে তার।
অন্ধকার সেলের মধ্যে বসেই কারাবাস নিয়ে আত্মজীবনী লেখেন— ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’।
১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়ে, ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।গ্রহণ করেন নোবেল শান্তি পুরস্কার।
বৈরি প্রতিপক্ষের দিকে ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মত উদারতা, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সবকিছু মিলিয়েই নেলসন ম্যান্ডেলা।
বর্ণবাদের অবসানের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। তাইতো শ্বেতাঙ্গ শাসকদের সবকিছু ভুলে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করেন। ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’- এর মতই!
- ওয়ারিদ আহমেদ তরিন