ক্রিকেটখেলাহোমপেজ স্লাইড ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উদীয়মান তিন নক্ষত্র

এস. কে. শাওন: সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের টালমাটাল অবস্থায় যখন চারিদিকে ছিল হতাশার বিউগল, তখনই তাঁদের পারফরম্যান্সে বেঁজে উঠলো আনন্দ সংগীত! ওরা বাংলাদেশের ক্রিকেটে সম্ভাবনার আকাশের সূর্য! ওরা বাংলাদেশের ক্রিকেট ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ে দিয়েছে। বলছিলাম তিনজন উদীয়মান ক্রিকেটারের গল্প।
আফিফ হোসেন: খুলনায় জন্ম নেওয়া ২০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের অভিষেক হয় গত বছর। শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাটিংয়ে রানের খাতা খুলতে না পারলেও বোলিংয়ে উইকেটের খাতা খুলতে পেরেছিলেন। টিম ম্যানেজমেন্টও আফিফে আস্থা রেখেছিল। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। চলতি বছর ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৫২ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। সর্বশেষ ভারতেরর বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ১১ রানের খরচায় ১ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। এমনকি আফিফের ফিল্ডিংও প্রশংসার দাবিদার। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে না খেললেও টি-২০ খেলেছেন ৮টি। ছোট্ট এই ক্যারিয়ারে ১ অর্ধশতকের পাশাপাশি রয়েছে ৪টি উইকেট। উদীয়মান এই তারকা যদি তাঁর পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন তাহলে তাঁকে হয়তো জাতীয় দলে আলোর মশাল হাতে লম্বা পথ পাড়ি দিতে দেখা যাবে।
মোহাম্মদ নাঈম: ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচটি খেলেন নাঈম। টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে মন্থর গতিতে খেলে ২৬ রানে আউন হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের মিছিলে যোগদান না করে ৩৬ রানের স্কোর গড়েন। সর্বশেষ ম্যাচে অভিজ্ঞরা যখন উইকেটে থিতু হতে পারছিলেন না ঠিক তখনই নাঈমের ব্যাটে রানের ঝড় উঠে! ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ বলে ৮১ রান করে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দেন তরুণ নাঈম। সর্বশেষ বাংলাদেশ- ভারত তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের নাম মোহাম্মদ নাঈম। বাংলাদেশের টি-২০ তে এখনও আরও অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। সেই পথের নতুন পথিক হিসেবে নাঈমেট নামটাই জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে।