ক্রিকেটখেলাহোমপেজ স্লাইড ছবি
বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান ও বোলার

এস.কে.শাওন: গত ১৪ জুলাই ঐতিহাসিক এক ফাইনাল দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর্দা নেমেছে। ৪৬ দিনের এই আসরে ব্যাটসম্যান বোলারেরা নিজ নিজ জায়গা থেকে দলের জন্য লড়াই করে গেছেন সমানে সমান। আজকের প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শীর্ষ পাঁচজন ব্যাটসম্যান -বোলারদের নিয়ে।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো শীর্ষ পাঁচ এ যারা আছেন তাদের মধ্যে সাকিব -মুস্তাফিজ বাদে বাকি সবাই সেমিফাইনাল বা ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছেন। বাংলাদেশ পয়েন্ট তালিকায় ৮ম হলেও ব্যাটিংয়ে সাকিব এবং বোলিংয়ে মুস্তাফিজ শীর্ষ পাঁচ এর তালিকায় রয়েছেন। পয়েন্ট তালিকার ৫,৬,৭ নাম্বার দলের কেউই শীর্ষ পাঁচ এর তালিকায় নেই।
ব্যাটিংয়ে শীর্ষ পাঁচ
১/ রোহিত শর্মা: এক বিশ্বকাপেই করেছেন ৫টি সেঞ্চুরী। সাথে রয়েছে একটি অর্ধশতক। ৯ ইনিংসে ৮১.০০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৬৪৮ রান। তাঁর অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সই ভারতকে সেমির টিকিট পেতে সহায়তা করেছে।
২/ ডেবিড ওয়ার্নার: বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ ছিলেন। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। সেই ওয়ার্নার দলে ডাক পেয়ে নির্বাচকদের বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। তাঁর সংগ্রহ ১০ ইনিংসে ৭১.৮৮ গড়ে ৬৪৭ রান। সমান ৩টি করে শতক এবং অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন।
৩/ সাকিব আল হাসান: বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের এক দুর্ভাগা রাজপুত্র! ৮ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরী ও ৫ ফিফটিতে ৮৬.৫৭ গড়ে সংগ্রহ করেন ৬০৬ রান। দলের অন্য সতীর্থরা তাঁকে সঙ্গ দিতে না পারায় সেমিফাইনালের রোমাঞ্চ তাঁর গায়ে মাখা হলো না। দুর্ভাগ্যই বলতে হয়, ব্যাটিং-বোলিংয়ে চোখ জুড়ানো পারফর্ম করেও হতে পারলেন না টুর্নামেন্ট সেরা।
৪/ কেন উইলিয়ামসন: নিউজিল্যান্ডকে টেনে হেঁচড়ে যেন ফাইনালে তুলেছেন! গ্রুপ পর্ব থেকে ধারাবাহিকভাবে খেলে ১০ ইনিংসে ৮২.৫৭ গড়ে করেছেন ৫৭৮ রান। পেয়েছেন সমান ২ টি শতক এবং অর্ধশতক। দলকে ফাইনালে তোলার এই কারিগর জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
৫/ জো রুট: বিশ্বকাপে প্রায় সবগুলো ম্যাচেই ইংল্যান্ডের রানে গতি সচল রাখতে ভূমিকায় ছিলেন রুট। এই আসরে করেছেন ২টি সেঞ্চুরী ও ৩টি ফিফটি। ১১ ম্যাচে ৬১.৭৭ গড়ে সংগ্রহ করেন ৫৫৬ রান।
শীর্ষ পাঁচ বোলার
১/ মিচেল স্টার্ক: এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন স্টার্ক। ১০ ইনিংসে ৫.৪৩ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৭টি উইকেট। যা অজিদের সেমিতে উঠার সিঁড়ি হয়ে কাজ করেছে। এই আসরে স্টার্ক ৫ উইকেট পেয়েছেন দু’বার।
২/ লকি ফার্গুসন: কিউই ফাস্ট বোলার ফার্গুসনের একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। সেটি হলো সব উইকেটেই বলে ভেরিয়েশন এনে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারেন। তিনি ১০ ইনিংসে ৪.৮৮ ইকোনোমিতে ২১ উইকেট পেয়েছেন। তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৩৭ রানে ৪ উইকেট শিকার।
৩/জোফরা আর্চার: ইংল্যান্ডের এই গতিশীল বোলারের দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কতো ড্রামা হলো। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলে ডাক পান আর্চার। মার্ক উড,প্লাঙ্কেটদের সাথে ভালোভাবেই সামলান ইংলিশ পেস ইউনিট। ১১ ইনিংসে ৪.৫৭ ইকোনোমিতে তাঁর পকেটে জমা হয়েছে ২০ উইকেট।
৪/ মুস্তাফিজুর রহমান: সাকিবের পরে বাংলাদেশ দলে যদি কেউ ভালো পারফর্ম করে থাকে, সেটি হলো মুস্তাফিজ। প্রতিটি ম্যাচেই ডেথ ওভারে বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন এই কাটার মাস্টার। ৮ ইনিংসে ৬.৭০ ইকোনোমিতে তাঁর শিকার ২০ উইকেট। এ আসরে দুইবার পেয়েছেন ৫ উইকেট।
৫/জশপ্রিত বুমরাহ: প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের ইয়র্কার ডেলিভারী দিয়ে চাপে রেখেছিলেন বুমরাহ। ৯ ইনিংসে ৪.৪১ ইকোনোমিতে তাঁর সংগ্রহ ১৮ উইকেট।এই আসরে ৫৫ রানে ৪ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।