জাতীয়ট্রেন্ডিং খবর
মৃত্যুর পর আমাকে যেন শহীদ মিনারে না নেওয়া হয়ঃ মুর্তজা বশীর

ঢাকা: মুর্তজা বশীর একাধারে ভাষাসৈনিক, চিত্রকর, শিক্ষক, কবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্প নির্দেশক, গবেষক ও মুদ্রা বিশারদ। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে ছিলেন তিনি, রক্তাক্ত আবুল বরকতকে যারা হাসপাতালে নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এই শিল্পীও ছিলেন
মুর্তজা বশীর ২০১৩ সালে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। মাঝখানে কিছুদিন স্বস্তি মিললেও গত ১৫ দিন ধরে রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান এ চিত্রশিল্পী।
তার ভাষ্যে, চিকিৎসকদের পরামর্শে রোজ রাত ৯টা থেকে ভোর অবধি প্রায় ছয় ঘণ্টার মতো কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে বাঁচতে হয় তাকে।
মুর্তজা বশীর বলেন, “সম্প্রতি শ্বাসকষ্টটা বেড়েছে; সঙ্গে অক্সিজেনটা কমে যাচ্ছে। অক্সিজেন মেশিন দিনে রাতে চলছে। ফলে মেশিনগুলোও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আরেকটা মেশিন কিনতে হবে; মেশিনটার দাম তিন লাখ টাকা। এত টাকা কোথায় পাব? কেউ যদি অনুদান দেয় তাহলে নিতে পারতাম।”
তাহলে চিকিৎসার অর্থসংস্থান কীভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বন্ধু-বান্ধবদের বলেছি। কিন্তু এটা তো অনেকটা ভিক্ষাবৃত্তির মতো। …সন্তানদের বলেছি, মারা যাওয়ার পর যেন আমাকে শহীদ মিনারে নেওয়া না হয়।…মৃত্যুর পর আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হলে তা যেন গ্রহণ করা না হয়।”
“সরকার অনেককে চিকিৎসার জন্য টাকা দিচ্ছে। আমি যেহেতু নির্দলীয় লোক, সেহেতু কোনো সহায়তা পাব না,” বলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এ চিত্রশিল্পী।
ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীরের জন্ম ১৯৩২ সালের ১৭ অগাস্ট, ঢাকায়।