দৈনিক ভালো খবর
চরের জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

চরের জমি ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রথম প্রকল্প বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল অকৃষি খাস জমি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কয়েকটি চরাঞ্চলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে, এতদিন এই প্রক্রিয়া শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই প্রথম যা আলোর মুখ দেখছে। শিগগিরই সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এখন পর্যন্ত দেশে যেসব সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হবে এটি। সরকারি কোম্পানি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। কেন্দ্রটি থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস সম্প্রতি বলেছেন, ‘দেশের কিছু চরাঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানের পুরো জমি সরকারি। এসব খাস জমিতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে।’
এনডব্লিউপিজিসিএল সূত্র জানায়, পাবনার সূজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের চররামকান্তপুর মৌজায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এনডব্লিউপিজিসিএলকে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দিয়েছে।
সরকার প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা হচ্ছে।
সরকার প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারের হাতে থাকা জমি ব্যবহার করছে। একইসঙ্গে গ্রিডলাইনও করে দিচ্ছে। উদ্যোক্তরা শুধু কেন্দ্র নির্মাণ করছেন। আমাদের এখানে পাবনা প্রকল্প দিয়ে খাস জমিতে কেন্দ্র নির্মাণের যাত্রা শুরু হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সরকার দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নানা সময়ে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও তার বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রেয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন