খেলাপ্রিয় তারকাহোমপেজ স্লাইড ছবি
সেরেনা উইলিয়ামসের অজানা অধ্যায়

এস.কে.শাওন: বিশ্লেষকদের মতে তিনি টেনিস ইতিহাসের সেরা নারী টেনিস খেলোয়াড়। অর্জনে গর্জনে আলোকিত করে রেখেছেন নিজের টেনিস ক্যারিয়ার। বিখ্যাত এই নারী টেনিস খেলোয়াড় টেনিস কোর্টে কয়েকবার বিতর্কের জন্ম দিয়ে সমালোচিতও হয়েছেন। বলছিলাম টেনিস ভুবনের তারকা খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামসের কথা। টেনিসে তাঁর বাঘা বাঘা মুকুট অর্জনের কথা কারো অজানা নয়। তাঁর টেনিস ক্যারিয়ারের অর্জনের গল্প পড়তে পড়তে পাঠকরা হয়তো কিছুটা বিরক্ত! চলুন আজকে চোখ বুলানো যাক সেরেনা উইলিয়ামসের অজানা অধ্যায়ে।
পাঁচ বোনোর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সেরেনার জম্ম ১৯৮১ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর আমেরিকার মিশিগানে। পুরোনাম সেরেনা জেমেকা উইলিয়ামস। তাঁর বাবা রিচার্ড ও মা অরাসিন দু,জনই টেনিস কোচ। এমনকি সেরেনার মা জনপ্রিয় টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। টেনিস পরিবারে জন্ম নেওয়া এই তারকা মাত্র চার বছর বয়স থেকে টেনিস খেলা শুরু করেন! বলতে গেলে বাবা রিচার্ডের হাত ধরেই সেরেনার টেনিসে হাতেখড়ি। সেরেনার বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসও সাবেক নাম্বার ওয়ান টেনিস খেলোয়াড়। মডেল হিসেবেও সেরেনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাছাড়াও টেলিভিশনে বিভিন্ন টকশোতেও তাঁর দেখা মিলে।
এমনকি ব্যবসায়ও মনোনিবেশ করেছেন বিখ্যাত এই নারী টেনিস খেলোয়াড়। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যানিরিস ক্লথিং নামে সেরেনার একটি কোম্পানিও রয়েছে। ব্রিটিশ লাক্সারী অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এস্টন মার্টিনে চিফ স্পোর্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। যক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল লিগের দল মায়ামি ডলফিন্সের শেয়ারে মালিকানা রয়েছে সেরেনার। বিচিত্র এই ক্যারিয়ারে তিনি দ্য সিমফোনস নামক একটি এনিমেশন মুভির গানে কন্ঠ দিয়েছেন। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ক্রীড়াবিদের মধ্যে সেরেনা একজন। তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ৮১ লাখ ডলায়। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
অধ্যবসায়ী এই টেনিস তারকা তাঁর সাফল্যের জন্য এসেন্স ম্যাগাজিনের সেরা ৫০ অনুপ্রেরণামূলক আমেরিকান আফ্রিকানদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে সেরেনা রেডিটের কো-ফাউন্ডার ওহিনিয়ানের সঙ্গে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিয়ের পূর্বে সেরেনা ও ওহিনিয়ানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ দম্পতির রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। সামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত আছেন তিনি। অসহায়দের জন্য তৈরি করেছেন সেরেনা ফাউন্ডেশন এবং কিছুসংখ্যক স্কুল।
গত বছর তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আই টাচ মাইসেল্ফ নামক বিখ্যাত এই গানটি নিজে গেয়েছেন।সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করায় তিনি পেয়েছেন সেলিব্রেটি অ্যাওয়ার্ড। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা কাজ করেছেন হার্ট অফ গোল্ড, দ্য কম ন গ্রাউন্ড, এল্টন জন এইডস ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে।
সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় তিনি ২০১১ সালে ইউনিসেফের গুড উইল এম্বাসেডর নির্বাচিত হন। সবশেষে তাঁর টেনিস ক্যারিয়ারের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য না দিলে হয়তো পাঠকদের কাছে অন্যায় হয়ে যাবে! কিংবদন্তী এই টেনিস খেলোয়াড় তাঁর স্বর্ণালী ক্যারিয়ারে জিতেছেন সর্বমোট ৭২ টি শিরোপা। এর মধ্যে ২৩ টি গ্র্যান্ডস্লাম ও অলিম্পিকে ৪ টি স্বর্ণ পদক উল্লেখযোগ্য।