আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণআলোচিত যারাজাতীয়ট্রেন্ডিং খবররাজনীতি
হোয়াইট হাউজের চাবি কার?

মামুন হোসাইন: বিশ্বের ভূরাজনীতি কেমন হবে তা অনেকটা আমেরিকার উপর নির্ভর করে।এজন্য আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে সব দেশেরই মাথাব্যথা থাকে, সাধারণ মানুষ ও আগ্রহী হয়। হোয়াইট হাউসে আগামী ৪ বছর কে বাস করবে তা আগামী কালের ভোটেই নির্ধারণ হবে। যদিও এরমধ্যে ২ প্রার্থী ট্রাম্প ও বাইডেনসহ আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছে।
আমেরিকার ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ফ্লোরিডা, ওহাইও,জর্জিয়া ,নর্থ ক্যারোলেনিয়া, পেনসালভেনিয়াসহ ৮টি রাজ্যের ১২৫ টি ইলেকট্রোরাল কলেজই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।এ রাজ্যগুলোকে সুইং স্টেট বলা হয়। এগুলোতে এগিয়ে থাকলে ২৭০ টি ইলেকট্রোরাল কলেজ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। ট্রাম্প ও বাইডেন তাদের সর্বশেষ প্রচারণা শেষ করেছেন। প্রথম দিকে জনমতে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে ট্রাম্প ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। যদিও জনমত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত তেমনভাবে করে না, এটা আমরা ২০১৬ সালের নির্বাচনে দেখেছি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলেও ট্রাম্প এখানে জয়ী হন। ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই। কারণ, বাইডেন তার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যা করতে পারে নি, ট্রাম্প তা গত ৪ বছরে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছেন। যদিও তার অনেক কাজ রক্ষণশীলদের পছন্দ হয় নি। আমেরিকার সর্বশেষ ৩ প্রেসিডেন্ট তাদের ২য় মেয়াদে জয়লাভ করেছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাম্প কী তার হোয়াইট হাউজের চাবি ধরে রাখতে পারবে? জানার জন্য আর একটু অপেক্ষা করতে হবে।