দৈনিক ভালো খবর
বুধবার উদ্বোধন করা হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম

আগামী বুধবার উদ্বোধন করা হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন। ওইদিন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ সব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৭২টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিসে এবং বাংলাদেশস্থ ৮০টি বৈদেশিক মিশনে পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম চালু করা হবে। ই-পাসপোর্টে ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে প্রচলিত এমআরপিসমূহকে সম্পূণরুপে প্রতিস্থাপিত না করা পর্যন্ত ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপির ব্যবহার চলমান থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ই-পাসপোর্টের চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্যাদি সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকবে। ডিজিটাল সিগনেচার প্রযুক্তির সাহায্যে ই-গেটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পাসপোর্টধারীর প্রকৃত তথ্য ও ফেসিয়াল রিকগনিশন যাচাই করা যাবে।
যেভাবে পাওয়া যাবে ই-পাসপোর্ট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। এতে কোনো ছবি এবং কোনো ধরনের কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রসহ বাবা-মায়ের এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেয়া হবে। আবেদন করার বিস্তারিত নিয়মাবলী অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইনে ভেরিফিকেশন করার প্রচেষ্টা নিয়েছি। সেটা অবশ্যই সফল করবো।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান জানান, অতি জরুরি ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রি-পুলিশ ভেরিফিকেশন নিজ উদ্যোগে করে নিয়ে যেতে হবে।